AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sports as Fundamental Right: মৌলিক অধিকারের তালিকায় কি এ বার জায়গা পেতে চলেছে খেলা?

Supreme Court Of India: শারীর শিক্ষা বা খেলাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দিতে চাইছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মর্মে কেন্দ্র ও দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারের মতামত চেয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

Sports as Fundamental Right: মৌলিক অধিকারের তালিকায় কি এ বার জায়গা পেতে চলেছে খেলা?
ফাইল ছবি Image Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Apr 28, 2022 | 11:12 AM
Share

কলকাতা: দেশের সংবিধান (Constitution Of India) অনুযায়ী, মোট ৭টি মৌলিক অধিকার (Fundamental Rights) রয়েছে ভারতীয়দের। সাম্য, স্বাধীনতা, শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সাংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকার, সম্পত্তির অধিকার এবং সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার। শারীর শিক্ষা বা খেলাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দিতে চাইছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court Of India)। সেই মর্মে কেন্দ্র ও দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারের মতামত চেয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যেক দিন অন্তত ৯০ মিনিট খেলার (Games And Sports) জন্য সময় বরাদ্দ রাখতে হবে, তাও জানিয়েছে।

বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, এই বিষয়ে দেশের প্রতিটি রাজ্যর মতামত প্রয়োজন। কারণ খেলাকে মৌলিক অধিকারভুক্ত করার জন্য সকলের সম্মতি দরকার। তা না থাকলে এই রায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। খেলা ও শরীরচর্চার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বিচারপতিরা বলেন, বাচ্চারা খেলামুখী হলে তাদের পক্ষেই ভালো। না হলে আরও অনেক বেশি সময় মোবাইল বা কম্পিউটার দেখে (Screen Time) কাটাবে। ভারতের মতো প্রগতিশীল দেশে খেলাকে এখনও কেরিয়ার অপশন হিসাবে দেখা হয় না, তাও উল্লেখ করেছেন বিচারপতিরা।

বিচারপতি রাও বলেন, ‘অনেক ছাত্রছাত্রীই দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত খেলাধুলোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। তারপর হঠাৎই হারিয়ে যায়।’ ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষণের (VVS Laxman) উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁর বাবা-মা ছিলেন ডাক্তার, তারপরও ক্রিকেটকে নিজের পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন লক্ষ্মণ। এমনটা আমাদের দেশে কিন্তু কমই দেখা যায়।’

মার্চে একটি জনস্বার্থ মামলার (PIL) উপদেষ্টা হিসাবে অ্যাডভোকেট গোপাল শঙ্করনারায়ন সুপ্রিম কোর্টে একটি রিপোর্ট জমা দেন। এই রিপোর্টে তিনি খেলা ও শরীরচর্চাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওই রিপোর্টে বলা হয়, সিবিএসই ও আইসিএসই সহ দেশের সমস্ত শিক্ষা সংসদগুলিকে দিনের অন্তত ৯০ মিনিট খেলার জন্য বরাদ্দ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। শারীরশিক্ষাকে সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে। শারীরশিক্ষা বিষয়ক পাঠ্যক্রম তৈরি, তার পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা তার বিরুদ্ধে থাকা বিভিন্ন অভিযোগের প্রতিকার— এ সব কার্যকর করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে জাতীয় শারীরশিক্ষা মিশন (NLPM) প্রতিষ্ঠা করতে বলা যেতে পারে। ২০২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সমস্ত স্কুল ও কলেজে যেখানে কোনও আবাসিক থাকে না, বাইরের বাচ্চাদের কথা ভেবে খেলার মাঠ ও অন্যান্য সুবিধা দিতে হবে।

শিক্ষার অংশ হিসেবে খেলাধূলা ও শারীরশিক্ষা, ক্রীড়া মূল্যবোধ ও ক্রীড়া সংস্কৃতির প্রসারে সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে, জানিয়েছে ওই রিপোর্টে। জনস্বার্থ মামলাটিতে বলা হয়েছে, খেলাকে একদম প্রাথমিক স্তর থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষার মৌলিক অধিকারের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রতি স্কুলে শুধু খেলার জন্য বাজেট থাকা দরকার।

সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে খেলা যদি মৌলিক অধিকার বলে গণ্য হয়, তা হলে কি ক্রীড়া সংস্কৃতি বদলাবে? খেলার প্রতি মনোভাব, খেলা ঘিরে কেরিয়ার তৈরির চেষ্টা চলবে দেশ জুড়ে? এই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: IPL 2022: অশ্বিনকে নিয়ে ফের পরীক্ষা, আইপিএলের অভিধান যেন পাল্টে দিচ্ছে রাজস্থান