US Open 2023: ইউএস ওপেনে সাম্যের ৫০ বছর পূর্তি, বিলি জেনকে সামনে রেখে উদযাপন
50 years of equal prize money: ৫০ বছর আগে এক অসম লড়াইয়ের দরজা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। কে জানত, সেই পথে হাঁটতে হবে ইউএস ওপেনকে। ছেলে-মেয়েদের সমানাধিকার দিতেই হবে। তারই ৫০ বছর পূর্তি হল ইউএস ওপেনে।
নিউ ইয়র্ক : ৫০ বছর আগে ইতিহাসের দরজা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। লিঙ্গ সাম্য, ছেলে-মেয়ে সমানাধিকারের দাবি তুলে দিয়েছিলেন আমেরিকান তরুণী। তাঁর সেই লড়াই কাজে লেগেছিল। ৫০ বছর আগে স্বীকৃতি মিলেছিল সেই অসম লড়াইয়ের। সোমবার রাতে অ্যাশ আর্থার স্টেডিয়ামে যখন তিনি নিজের লড়াইয়ের কথা বলছেন মাইক তুলে, প্রতিধ্বনির মতো শোনাচ্ছিল তাঁর প্রতিটা শব্দ। যে শব্দবন্ধনীর জন্ম দিয়েছিলেন ৫০ বছর আগে। সেই মার্কিনি টেনিস তারকার তখন বয়স ছিল মাত্র ২৯। এখন ৭৯। ১৯৭২ সালে ইউএস ওপেন (US Open 2023) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বিলি জেন কিং (Billie Jean King)। গ্র্যান্ড স্লাম (Gran Slam Tennis) চ্যাম্পিয়ন হলে যে কেউ আগামী বছর আবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। নিজেকে আরও ধারালো করার জন্য তৈরি হন। কিন্তু বিলি জেনের মতো কেউ কেউ অন্য গ্রহের মানুষ হন। ব্যতিক্রমী রাস্তায় হাঁটেন তাঁরা। কে এই বিলি জেন কিং? ইতিহাস তাঁকে কি ভুলে গিয়েছে? TV9 Bangla Sports তুলে ধরল এই প্রতিবেদনে।
১৯৭২ সালে মেয়েদের টেনিসে যেমন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন বিলি জেন, ছেলেদের টেনিসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ইলি নাস্তাস। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দরুণ বিলি পেয়েছিলেন ১০ হাজার মার্কিন ডলার। কিন্তু নাস্তাস পেয়েছিলেন ২৫ হাজার ডলার। যা মেনে নিতে পারেননি বিলি জেন। ছেলে আর মেয়েদের টেনিসে এত ফারাক কেন থাকবে? কেন মেয়েরা বঞ্চিত হবেন? কেন তাঁদের দিনের পর দিন শুধু ঘরে বন্দি করে রাখা হবে? প্রতিবাদী বিলি জেন সে বছরই বলে দিয়েছিলেন, তিনি আর কখনও খেলবেন না ইউএস ওপেন। প্রাইজ়মানি যতদিন না সমান হবে। শুধু তিনি কেন, অন্য মেয়েরাও যাতে না খেলেন, সেই ব্যবস্থা করবেন।
৫০ বছর আগে ইউএস ওপেন ‘সমান’ শব্দটা মেনে নিয়েছিল। বিলি জেনের সেই প্রতিবাদ দিয়ে যার শুরু। তাঁকেই সামনে রেখে সমান প্রাইজ়মানির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করল ইউএস ওপেনের আয়োজকরা। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। ছিলেন ৭৯ বছরের প্রবীণা বিলি জেন কিংও। ৫০ বছর ধরে ছেলে ও মেয়েদের টেনিসে সমান প্রাইজ়মানি দিয়ে আসছে ইউএস ওপেন। মিশেল ওবামার হাত ধরে মঞ্চে আসেন বিলি। মাইক হাতে নিয়ে বললেন, ‘লড়াই কখনও শেষ না হওয়া একটা পদ্ধতি। স্বাধীনতা সেই অর্থে কখনওই অর্জন করা যায় না। এটা প্রতি প্রজন্মকে অর্জন করতে হয়, জয় করতে হয়।’
কী বললেন মিশেল? ‘বিলি জেন আমাদের শিখিয়েছেন, যখন ভারসাম্যের মধ্যে মিথ্যে মিশে যায়, আমাদের তখন নিজেদের পছন্দ বেছে নিতে হয়। যা পাচ্ছি, তাই মেনে নিতে হয় কিংবা একটা স্বতন্ত্র জায়গায় এসে দাঁড়াতে হয়। মুখ খুলতে হয় নিজেদের মেয়েদের জন্য, তাদের মেয়েদের জন্য।’