PARIS 2024, HOCKEY: সেমিফাইনালে এগিয়ে থেকেও হার, ব্রোঞ্জের ম্যাচে ভারত

Paris Olympics 2024: প্যারিসে খেলা হচ্ছিল নাকি ভুবনেশ্বরে, গ্যালারির পরিস্থিতি দেখে বোঝা কঠিন। তা আরও জোরালো হল প্রথম কোয়ার্টারেই লাগাতার প্রতিপক্ষর উপর চাপ তৈরির পর ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত সিংয়ের গোলের পর। প্রথম কোয়ার্টারেই জার্মানির বিরুদ্ধে ১-০ এগিয়ে যায় ভারত। প্যারিসে হরমনপ্রীতের অষ্টম গোল।

PARIS 2024, HOCKEY: সেমিফাইনালে এগিয়ে থেকেও হার, ব্রোঞ্জের ম্যাচে ভারত
Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2024 | 12:24 AM

প্যারিস‌: ভারত পারছে না কেন? বারবার এই প্রশ্নের মুখে পড়ত হয়েছে তাঁকে? চোখ হাই পাওয়ারের চশমা। তবু যেন ভবিষ্যৎ দেখতে পেতেন না! থতমত গলায় বলতেন, ‘আমরা পিছিয়ে পড়ছি, ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছি।’ শুধু গুরবক্স সিংই নন, বীরবাহাদুর ছেত্রী থেকে ধনরাজ পিল্লাই, দিলীপ টিরকে— যে যখন এসেছেন বাংলায়, পিছু নিয়েছে এই এক প্রশ্ন।

হয় না কেন-র হাহাকার থেকে বেরোতে ৪৪ বছর সময় লাগল ভারতের। ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিকে শেষবার হকির ফাইনালে উঠেছিল ভারত। প্যারিসে আবার ফাইনাল হতে পারত। টোকিও গেমস থেকে এসেছিল ব্রোঞ্জ। এ বারও তা-ই আসতে পারে। এই ক’দিন আগেও মনে হচ্ছিল, হরমনপ্রীত সিংয়ের এই ভারত খুব বেশি দূর এগোবে না। বড্ড বেশি হরমনপ্রীত নির্ভর। ফরোয়ার্ড কোথায়? খেলানোর লোক কোথায়? গোল করানোর লোক কে? নক আউট গেলেই তো অনেক!

পরীক্ষায় না বসলে যেমন ছাত্র চেনা যায় না, মাঠে না নামলে তেমন টিম। আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, গ্রেট ব্রিটেন— পর পর হারিয়ে ভারতীয় হকি টিম দেখিয়ে দিল, হকিতে আবার সূর্যোদয় হচ্ছে ভারতের। জার্মানির বিরুদ্ধে জিততে ড্র, ড্র করতে করতে ২-৩ হার। ফাইনালের রাস্তা তাতেই অবরুদ্ধ হয়ে গেল। আক্ষেপ থাকছে। কিন্তু পদক হাতছাড়া, তা বলা যাচ্ছে না। প্যারিসে আবার ব্রোঞ্জের জন্য নামবে ভারত। সোনালি দিন ফিরল না হয়তো, কিন্তু এই ভারত অলিম্পিক সোনা ফেরাতে পারে দেশে। চার বছর পরের অলিম্পিক থেকে। হরমনপ্রীত, অভিষেক, ললিতদের এই আগুন দেখে ফেলল হকি বিশ্ব। স্পেনের বিরুদ্ধে নামবে ভারত ব্রোঞ্জ ম্যাচে।

জার্মানি-৩ ‌:                       ভারত-২‌

                                  (গঞ্জালো ১৮, ক্রিস্টোফার ২৭, মার্কো ৫৪)      (হরমনপ্রীত ৭, সুখজিৎ ৩৬)

জার্মানির কাছে ভারত হারল কেন? প্রথম যুক্তিটা নিশ্চিত ভাবেই অমিত রুইদাসের মতো ডিফেন্ডারের না থাকা। তাও ফাইনালের স্বপ্নে লড়াই করেছে ভারত। ৭ মিনিটের মাথায় হরমনপ্রীতের পেনাল্টি কর্নার থেকে গোলে ১-০। এই অলিম্পিকে ৯ গোল হয়ে গেল হরমনপ্রীত সিংয়ের। প্রথম কোয়ার্টার ভারতেরই দখলে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ার্টার থেকে আবার খেলা ধরে নেয় জার্মানি। গঞ্জালো ১-১ করেন ১৮ মিনিটে। পরের দুটো গোল ক্রিস্টোফার ও মার্কোর। সুখজিৎ সিং তার আগে অবশ্য ২-২ করে ফেলেছিলেন।

চতুর্থ কোয়ার্টারে ভারত একেবারে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। ফোর্থ কোয়ার্টারের শেষ দিকে পেনাল্টি কর্নার বাঁচিয়ে টিমকে খেলায় রেখেছিলেন। আবার নিশ্চিত গোল সেভ করেন শ্রীজেশ। সঞ্জয়ের গোললাইন সেভ। টুকরো টুকরো লড়াইয়ের এমন কত ছবি! সে সব বয়েই এখন জীবনের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন শ্রীজেশ, মনপ্রীতরা। গতবারের মতো এ বারও যদি ব্রোঞ্জ আসে, হকিতে হারিয়ে ফেলা বিশ্বাসটা ফিরবে। হরমনপ্রীতরা তাই চাইছেন। বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, কে না জানে!