Tokyo Paralympics 2020: আড়াই’শো টাকার জুতো থেকে সোনারকেল্লায় দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া
অলিম্পিক থেকে অনেকেই দু'বার পদক এনেছেন। কিন্তু তৃতীয় বার পদক আনা অ্যাথলিটের সংখ্যা খুবই কম। দেবেন্দ্র সেই বিরল পাতায় নাম লিখতে চান।
জয়পুর: চল্লিশেও বিশ্বরেকর্ডের স্বপ্ন দেখা যায়। চল্লিশেও তৈরি করা যায় সোনা জয়ের নতুন রাস্তা। আথেন্সে যিনি শুরু করেছিলেন যাত্রা, ১৭ বছর পরও তিনি একই রকম প্রাসঙ্গিক। টোকিও গেমসেও জ্যাভলিন (Javelin) থেকে পদক আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া (Devendra Jhajharia)।
২০০৪ সালে আথেন্সে সোনা পেয়েছিলেন জ্যাভলিন থেকে। প্যারা অ্যাথলেটিক্স তখন থেকেই, তাঁরই জন্য এগোতে শুরু করে দেশে। বেজিং আর লন্ডনে পদক না পেলেও ফের রিও অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন দেবেন্দ্র। অলিম্পিক থেকে অনেকেই দু’বার পদক এনেছেন। কিন্তু তৃতীয় বার পদক আনা অ্যাথলিটের সংখ্যা খুবই কম। দেবেন্দ্র সেই বিরল পাতায় নাম লিখতে চান।
দেবেন্দ্র বলছেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমার পুরো ভাবনাটাই বদলে গিয়েছে। অভিজ্ঞতা আর সাফল্য থাকলে এটা সম্ভব হয়। আগের থেকে অনেক ঠান্ডা হয়েছি। আগে যেমন শারীরিক ওজন নিয়ে ভাবতাম না। কিন্তু এখন আমি সাত কেজি ঝরিয়েছি। এর ফলে আমার গতিটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।’
খুব গরীব পরিবার থেকে উঠে আসা দেবেন্দ্র একটা সময় ২৫০ টাকা দামের জুতো পরতেন। আথেন্সে সেই জুতো পরেই পদক জিতেছিলেন। যা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘আথেন্সে যখন আমি দেখি, অন্যান্য অ্যাথলিটরা ১৫-২০ হাজার টাকার জুতো পরছে, তখন ব্যাপারটা বুঝতে পারি। মনে হয়েছিল, আমিও যদি এই সব সুযোগ সুবিধাগুলো পাই, অন্যদের ছাপিয়ে যেতে পারি।’
রিও অলিম্পিকের আগে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পেয়েছিলেন। আর তাই তাঁকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল। ‘রিওর আগে আমি সমস্ত সুযোগ পেয়েছিলাম। তবে সবচেয়ে বড় বদল ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের টপ স্কিমে প্যারা অ্যাথলিটদের সংযুক্ত করা। এর ফলে সুনীল তনওয়ারকে কোচ হিসেবে নিয়োগ করতে পারি।’
জ্যাভলিনে আথেন্স অলিম্পিকে করা তাঁর নিজেরই বিশ্বরেকর্ড রিওতে ভেঙেছিলেন। জুলাইয়ে দিল্লিতে আবার ট্রায়ালের সময় ফের নিজের বিশ্বরেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। তার পর থেকেই আমার মনে হচ্ছে, নিজের যা ফর্ম, তাতে পদকের প্রত্যাশা মেটাতে পারব। আমার লক্ষ্য ৬৭-৬৯ মিটার ছোড়া। তা হলেই পদক আসবে।’