Ola Electric Scooter: এস১ ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এস১ প্রো মডেলের চাহিদা প্রায় তিনগুণ বেশি!
ওলা ই-স্কুটারের অ্যাফোর্ডেবল রেঞ্জের মডেল হল এস১ ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেশি দামের এস১ প্রো ভ্যারিয়েন্টের চাহিদা ভারতের বাজারে বেশি। কিন্তু কেন?
ভারতে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ওলা ইলেকট্রিক স্কুটার। যদিও এস১ এবং এস১ প্রো ভ্যারিয়েন্ট কত পরিমাণে বিক্রি হয়েছে তা অবশ্য জানায়নি ওলা সংস্থা। কোন ভ্যারিয়েন্ট থেকে কত ব্যবসা হয়েছে এখনও পর্যন্ত তাও প্রকাশ করেনি ওলা সংস্থা। তবে শোনা গিয়েছে যে, ওলা ইলেকট্রিকের এই দুই ভ্যারিয়েন্টের ইলেকট্রিক স্কুটারের মধ্যে এস১ প্রো মডেলের চাহিদা এস১ মডেলের তুলনায় বেশি। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বিক্রি শুরুর দু’দিনের মধ্যে ১১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ওলা ইলেকট্রিক।
ওলা ইলেকট্রিক স্কুটারের এস১ ভ্যারিয়েন্ট এস১ প্রো ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় অনেক বেশি অ্যাফোর্ডেবল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এস১ প্রো ভ্যারিয়েন্টের চাহিদাই গ্রাহকদের মধ্যে বেশি। ওলা ই-স্কুটারের এস১ মডেলের দাম ১ লক্ষ টাকা। আর এস১ প্রো মডেলের দাম ১.৩০ লক্ষ টাকা। গত ১৫ অগস্ট ভারতে ওলার এই দুটো ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ হয়েছিল। তার আগে জুলাই মাস থেকে শুরু হয়েছিল প্রি-বুকিং। আর গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে ওলার ইলেকট্রিক স্কুটারের বিক্রি শুরু হয়েছে। অক্টোবর মাস থেকে শুরু হবে ডেলিভারি। গ্রাহকদের বাড়িতে সরাসরি ডেলিভারি দেওয়া হবে ই-স্কুটার। অর্ডার শিপমেন্ট হওয়ার আগে পর্যন্ত ক্যানসেল কররা সুযোগ থাকবে ইউজারদের হাতে। অন্যদিকে। এখনও চলছে অনলাইন বিক্রি। পরবর্তী ‘পারচেজ উইন্ডো’ খুলবে পয়লা নভেম্বরে।
সম্প্রতি ওলা ইলেকট্রিকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, এস১ ভ্যারিয়েন্টের তুলনা এস১ প্রো ভ্যারিয়েন্টের চাহিদা তিনগুণ বেশি। কিন্তু অ্যাফোর্ডেবল মডেলের তুলনায় বেশি দামের ওলা ই-স্কুটারের চাহিদা কেন বেশি? অনুমান এস১ প্রো মডেলের অত্যাধুনিক ফিচারই ইউজারদের আকর্ষণের মূল কারণ। একবার চার্জ দিলে এস১ ভ্যারিয়েন্ট ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জে সফর করতে পারে। আর এস১ প্রো ভ্যারিয়েন্ট চলতে পারে ১৮০ কিলোমিটার। দুই ইলেকট্রিক স্কুটারেই রয়েছে নরমাল এবং স্পোর্টস রাইড মোড। এছাড়াও এস১ প্রো মোডে রয়েছে হাইপার রাইডিং মোড। এস১ মডেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০ কিলোমিটার/ঘণ্টা। এছাড়াও এস১ প্রো ভ্যারিয়েন্টের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১১৫ কিলোমিটার/ঘণ্টা। এছাড়াও দুটো মডেলেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি থাকলেও এস১ প্রো মডেলের ব্যাটারি বেশি শক্তিশালী। ফলে এই ই-স্কুটারে তুলনায় বেশিক্ষণ চার্জ থাকবে।
বিক্রি শুরু পর থেকেই একের পর এক রেকর্ড গড়ছে ওলার ইলেকট্রিক স্কুটার। প্রি-বুকিং শুরুর সময়েও এইধারা অব্যাহত ছিল। দক্ষিণের রাজ্য তালিনাড়ুতে তৈরি হয়েছে ওলার কারখানা। এটিই বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরির কারখানা। পাশাপাশি এটিই বিশ্বের বৃহত্তম মহিলা পরিচালিত কারখানার খেতাবও পেয়েছে। ১০ হাজার মহিলা কর্মী কাজ করবেন তামিলনাড়ুতে তৈরি ওলার কারখানায়। তাঁদের সবরকম প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, এখানকার তৈরি ই-স্কুটার পাড়ি দেবে মার্কিন মুলুকেও। এই কারখানার প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের পথে। পুরোপুরি চালু হলে বছরে ১০ মিলিয়ন ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরি হবে।
আরও পড়ুন- MG Astor SUV: এমজি মোটর ইন্ডিয়ার নতুন এই এসইউভিতে রয়েছে কী কী ফিচার? ডিজাইনই বা কেমন