TATA-ISRO Bus: এবার ইসরোর মস্তিস্কপ্রসূত চিন্তাভাবনাকে কাজে লাগিয়েই পরিবেশ বান্ধব বাস তৈরি করতে চলেছে টাটা…
বাস চলাচলের জন্য একটুও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হবে না। পরিবেশকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে এটা যুগান্তকারী পদ্ধতি হতে চলেছে। কোন জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা চলবে না এই বাস।
রাস্তায় এবার দূষণহীন বাস আনতে চলেছে টাটা মোটর্স। এই কাজে টাটার সঙ্গে রয়েছে ইসরো। নাসার পথে হেঁটেই এবার মহাকাশ গবেষণার একটি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমজনতার রোজকার সমস্যা মেটাতে চলেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। পরিবেশ দূষণ কমানোর এই পদক্ষেপ দেখে রীতিমতো প্রশংসায় বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে অনেকেই এই গণমাধ্যম বিষয় নিয়ে বেশ কিছুটা চিন্তার মধ্যেই ছিল। গণমাধ্যমই আমাদের ওজোন স্তরের ক্ষতিতে একটা মারাত্মক ভূমিকা পালন করে। তাই,গণমাধ্যমের কারণে যে দূষণ হয় তা যদি কোনওভাবে কমানো যায় তাহলে আর বিশেষ চিন্তার জায়গা থাকে না।
বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে নতুন এক ধরনের বাস পথে নামাতে চলেছে টাটা মোটর্স। যার প্রযুক্তি দিয়েছে ইসরো। যাত্রী পরিবহণের সেই বাসের নাম- ‘হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ভেহিক্ল’। যা আপাতত দূরপাল্লার বাসের ক্ষেত্রেই দেখা যাবে। ইসরো-র তরফে জানানো হয়েছে, এই বাস পরিবেশ দূষণ ও বাতাসে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমনের পরিমাণ কমানোর সহায়ক হবে। কারণ, এই বাস চলবে না কোনও জীবাশ্ম জ্বালানিতে। ফলে, এই বাস চলাচল শুরু করলে বাতাসে একবিন্দু গ্রিনহাউস গ্যাসেরও নির্গমন হবে না।
ইসরো জানিয়েছে, এই বাসে যে জ্বালানি সেলটি থাকবে তা হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাসের বিক্রিয়া ঘটিয়েই বাস চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎশক্তি তৈরি করবে। তাতেই চলবে বাসে থাকা বৈদ্যুতিক মোটর। সেই বিক্রিয়ায় উপজাত হিসাবে বেরিয়ে আসবে শুধু জল আর তাপশক্তি। ফলে, বাস চলাচলের জন্য একটুও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হবে না। পরিবেশকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে এটা যুগান্তকারী পদ্ধতি হতে চলেছে। কোন জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা চলবে না এই বাস। যার ফলে এই বাস রাস্তায় চলার সময় একবিন্দুও গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন হবে না।
এই ‘হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ভেহিকল’ বাস প্রথমে দূরপাল্লার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাসের বিক্রিয়া ঘটিয়েই বাস চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎশক্তি তৈরি করবে এই বাসে থাকা জ্বালানি সেল- ইসরোর পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। ইসরো জানিয়েছে, এই বাস চলার সময় পরিবেশে বেরিয়ে আসবে শুধু জল আর তাপশক্তি। যার ফলে পরিবেশ ক্ষতিকারক কোন গ্যাস নির্গত হবে না। রক্ষিত হবে পরিবেশের ভারসাম্য। বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমানোর জন্যই টাটার হাত ধরে বাজারে এই অভিনব বাস আনতে চলেছে ইসরো।