প্রথমবার হেডফোন কিনছেন? কী কী মনে রাখবেন

পকেটে কড়ি থাকলে কোনও কিছুই কেনা বোধহয় আজকাল সমস্যা নয়। তবে যে জিনিসই কিনুন না কেন, সেটা যাচাই করে নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। আর সেটা যদি হয় রোজের ব্যবহারের জিনিস তাহলে তো কথাই নেই। এমনই একটি রোজের ব্যবহারের জিনিস হেডফোন (Headphone)। অনেকের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়ও বটে। প্রতিদিনের জার্নিতে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনে রিল্যাক্স করা, কিংবা […]

প্রথমবার হেডফোন কিনছেন? কী কী মনে রাখবেন
headphone
Follow Us:
| Updated on: Dec 05, 2020 | 6:09 PM

পকেটে কড়ি থাকলে কোনও কিছুই কেনা বোধহয় আজকাল সমস্যা নয়। তবে যে জিনিসই কিনুন না কেন, সেটা যাচাই করে নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। আর সেটা যদি হয় রোজের ব্যবহারের জিনিস তাহলে তো কথাই নেই।

এমনই একটি রোজের ব্যবহারের জিনিস হেডফোন (Headphone)। অনেকের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়ও বটে। প্রতিদিনের জার্নিতে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনে রিল্যাক্স করা, কিংবা চলতে ফিরতে অফিসের জরুরি ফোনে কথা বলা—– হেডফোন সবক্ষেত্রেই অপরিহার্য।

আজকাল অনলাইনে নামীদামি বিভিন্ন কোম্পানি হেডফোন পাওয়া যায়। তার স্টাইলও ভিন্ন। তবে কেনার সময় ঝোঁকের মাথায় না কিনে, বরং একটু বিবেচনা করে হেডফোন কেনা ভাল। নইলে টাকা নষ্টর সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা দেখা দিতে পারে আপনার কানেও। তাছাড়া যে কাজের জন্য হেডফোন কেনা হচ্ছে সেটাও হয়তো ঠিক ভাবে হবে না।

আরও পড়ুন: ফোন বন্ধ থাকলেও বাজবে অ্যালার্ম, হবে চার্জও, কীভাবে?

হেডফোনের বিভিন্ন স্টাইল এবং কেনার সময় কী কী খেয়াল রাখবেন-  

১। Circum-aural / over-the-ear- এই জাতীয় হেডফোনের সাইজ সবচেয়ে বড়। দু’কানে লাগালে অনেকটা জায়গা জুড়ে থাকে। তবে কানের পুরো অংশ জুড়ে থাকে বলে এই হেডফোনের সাউন্ড কোয়ালিটি দুরন্ত। সেই সঙ্গে কানের অংশে মোটা প্যাডিং থাকায় তা নরম হয়। তবে আকার আয়তনে বড় হওয়ায় অনেকের ক্ষেত্রে রোজের যাতায়াতের পথে এই হেডফোন সেভাবে কার্যকর নাও হতে পারে। তবে ভিডিও বা অডিও এডিটিংয়ের ক্ষেত্রে এই ধরণের হেডফোন এক্কেবারে পারফেক্ট।

২। Supra-aural / on-the-ear-  এই হেডফোনও আকার-আয়তনে বেশ বড়। তবে Circum-aural বা over-the-ear হেডফোনের থেকে এর আয়তন ছোট। এক্ষেত্রে কানের জায়গায় খুব বেশি প্যাডিং-ও থাকে না। ফলে সম্পূর্ণ ভাবে কান-কে গ্রিপ করে রাখে না এই হেডফোন। বরং কানের উপরের অংশে আটকে থাকে। শোনার জন্য এই হেডফোন খুবই ভাল। বাইরের আওয়াজ একেবারেই ভেদ করে ঢুক্তে পারে না। কিন্তু বিশেষ প্যাডিং না থাকায় অত ভারী জিনিস অতক্ষণ ধরে কানে আটকে থাকায় ব্যথা হতে পারে।

৩। In-canal / in-the-ear- সাধারণ হেডফোন যেমন দেখতে হয়, এটা সেই গোত্রে পড়ে। একেবারেই নরম্যাল তারওয়ালা হেডফোন। চলাফেরার পথে শুধু গান শোনা বা কিছু দেখার জন্য যাঁরা হেডফোন ব্যবহার করেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই হেডফোনই যথেষ্ট। ক্যারি করাও সহজ। হাই কোয়ালিটি অডিও বা ভিডিও শোনার ক্ষেত্রে এই হেডফোন সমস্যা করে না। তবে এডিটিংয়ের ক্ষেত্রে এই হেডফোন ব্যবহার না করাই ভাল।

৪। আজকাল বাজারে ব্লুটুথ হেডসেট এবং ইয়ার বাডের রমরমা রয়েছে। ক্যারি করা সহজ। ব্যবহার করাও সুবিধা। তবে এমনি হেডফোনের তুলনায় এর দাম বেশি হতে পারে।