Laptop Malware Remove Tips: কম্পিউটার হ্যাক হয়নি তো আপনার? এসব লক্ষণ দেখলেই খুব সাবধান!
Laptop Tips: অনেকেই ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় বুঝতে পারেন না যে, তার ল্যাপটপে ম্যালওয়ার অ্যাটাক হয়েছে। যতক্ষণে কিছু বুঝে ওঠেন, ততক্ষনে সারা জীবনের আয় করা কষ্টের টাকা হাতছাড়া করে ফেলেন।
Laptop Malware Remove Tips: ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়বে, ততই দিনের পর দিন সাইবার ক্রাইমের মাত্রাও বাড়তে থাকেব। প্রতিদিনই কোনও না কোনও জালিয়াতির খবর নজরে আসে। আর তার বেশিরভাগটাই স্ক্যানাররা করে ফোন অথবা কম্পিউচার হ্যাক করে। অনেকেই ল্যাপটপ (Laptop) বা কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় বুঝতে পারেন না যে, তার ল্যাপটপে ম্যালওয়ার অ্যাটাক হয়েছে। যতক্ষণে কিছু বুঝে ওঠেন, ততক্ষনে সারা জীবনের আয় করা কষ্টের টাকা হাতছাড়া করে ফেলেন। আপনার ল্যাপটপটি যদি আগের তুলনায় স্লো কাজ করে তবে হতেই পারে য, তাতে ম্যালওয়ার অ্যাটাক (Malware Attack) হয়েছে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, শুধু কি এই একটাই কারণে বোঝা যাবে ল্যাপটপটি হ্যাক হয়েছে কি না? না, আরও অনেক কারণ আছে, যাতে আপনি সহজেই বুঝে যেতে পারবেন।
ম্যালওয়্যার অ্যাটাক কী?
ম্যালওয়্যার অ্যাটাক হল একটি সাইবার আক্রমণ, যেখানে ক্ষতিকর বা ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার কোনও ব্যক্তির ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ইনস্টল করা হয়। তাও আবার হ্যাক করে। ম্যালওয়্যার আপনার ডিভাইসের হার্ডওয়্যারের কোনও ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু আপনার ডেটা চুরি, এনক্রিপ্ট বা স্থায়ীভাবে মুছে ফেলতে পারে।
সিস্টেমে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে:
ইমেলে সমস্যা, সফ্টওয়্যার ডাউনলোডে সমস্যা দেখা দিলে বুঝবেন আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারটি ম্যালওয়ার অ্যাটাক হয়েছে। এছাড়াও কম্পিউটারের সিস্টেম সেটিংস এবং ফাইলগুলিতে যদি কোনও রকম পরিবর্তন দেখতে পান তাহলে সতর্ক হন। ল্যাপটপে থাকা ভাইরাসগুলি আপনার অজান্তেই সিস্টেম পরিবর্তন করতে পারে। কম্পিউটারটিকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য, আপ-টু-ডেট অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ইনস্টল করা এবং ফাইল ডাউনলোড করার সময় বা লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করার সময় সতর্ক থাকুন।
পপ আপ এবং বিজ্ঞাপন:
ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার অ্যাটাকে কম্পিউটারের আরেকটি সাধারণ পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। তা হল কম্পিউটার বা ল্যপটপটি অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কি না। শুধুই রিস্টার্ট নয়, কখনও কখনও যদি নিজে থেকেই কোনও অ্যাপ খুলে বা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেও সতর্ক হন। ভাইরাস এবং ম্যালওয়ারের সবচেয়ে সাধারণ উৎস হল ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন এবং সফ্টওয়্যার।
ডুপ্লিকেট ফোল্ডার:
কম্পিউটারে পাওয়া সবচেয়ে সাধারণ ভাইরাসগুলির মধ্যে একটি, যা ফোল্ডারগুলির মধ্যে ডুপ্লিকেট ফোল্ডার তৈরি করে। অর্থাৎ যদি ল্যাপটপ ব্যবহার করতে করতে হঠাৎই কোনও ফোল্ডারের ভিতর ডুপ্লিকেট ফোল্ডার চোখে পড়ে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে ডিলিট করে দিন।
ইন্টারনেট বেশি খরচ হচ্ছে:
আপনার যদি মনে হয়, ল্যাপটপে ইন্টারনেট বেশি খরচ হচ্ছে, সেক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে যান। সিস্টেমে কিছু ম্যালওয়্যার থাকতে পারে। ম্যালওয়্যার সাধারণত ডেটা সংগ্রহ করে। সংগৃহীত ডেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে লিঙ্ক সার্ভারে পাঠানো হয় এবং তার জন্য ডিভাইসে ইন্টারনেট খুব বেশি খরচ হতে শুরু করে।
অ্যান্টিভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন কাজ করছে না:
অনেক সময় দেখা যায় ল্যাপটপে অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার সঠিকভাবে কাজ করছে না। এর কারণ হতে পারে আপনার ল্যাপটপটিতে ভাইরাস রয়েছে। এই প্রোগ্রামগুলি আপনার কম্পিউটারকে নতুন অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার বা আপডেটগুলি ইনস্টল করা থেকে বাধা দিচ্ছে।