AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

লকডাউনে শিশুদের নতুন বন্ধু হেডফোন! ডেসিবলের মাত্রা কত থাকলে কান থাকবে নিরাপদ, জেনে নিন…

অতিমারীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শিশুরা। শৈশব, কৈশোর- কোনও অবস্থাতেই তাঁদের জীবন থেকে করোনা নামক ভাইরাস দূর হচ্ছেই না।

লকডাউনে শিশুদের নতুন বন্ধু হেডফোন! ডেসিবলের মাত্রা কত থাকলে কান থাকবে নিরাপদ, জেনে নিন...
ছবিটি প্রতীকী
| Updated on: May 14, 2021 | 8:21 PM
Share

ঘরে বসে অনলাইনে পড়াশোনা, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার ফুরসতও মিলছে সেই অনলাইনেই। গত একবছর ধরে এই লকডাউন আর মারণভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে শিশুরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে নিউ নর্ম্যাল জীবনে। কিন্তু মন কী তা মানে। সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, অতিমারির সময়টা শিশুদের জীবনের সব দিকই উলটপালট করে দিয়েছে। আগে মোবাইলে মুখ গুঁজে বসে থাকার প্রবণতা ছিল, বর্তমানে অতিমারির কারণে যুক্ত হয়েছে ল্যাপটপ আর হেডফোন। গান শোনা, অনলাইনে পড়াশোনা, ভিডিয়ো দেখার জন্য অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের কান।

এ ব্যাপারে আমেরিকার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ১২.৫ শতাংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী যাঁদের বয়স ৬ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে, তাঁদের ইতোমধ্যেই অত্যাধিক শব্দের সংস্পর্শে থাকার কারণে দীর্ঘস্থায়ী শ্রবণের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। গতমাসেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানানো হয়েছিল, বিশ্বের ১০ হাজার লক্ষ করুণ ও প্রাপ্তবয়স্কের স্থায়ী শ্রবণসমস্যার ঝুঁকি রয়েছে। শিশুদের শ্রবণশক্তি প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল। শ্রবণশক্তি বিকাশের উপর তীব্র প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা অনুসারে, শব্দের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে নিরাপদে ও একান্তে শোনার জন্য আরও শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। একটি ঘরের মধ্যে একা শিশু হেডফোন নিয়ে গান, ভিডিয়ো দেখে চলেছে। আমরা সাধারণত টানা ৮ ঘন্টার জন্য ৮৫ ডিবির কম ভলিউম মাত্রা পর্যন্ত কানে দিয়ে থাকতে পারি। প্রতি থ্রি-ডেসিবেলে ভলিউম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষিত শ্রবণ সময়ের অর্ধেক কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে শিশুদের অভিভাবকরা কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে পারেন…

হেডফোনের ইয়ারবাডগুলি নিয়ে সচেতন হোন। কানের মধ্যে ভাল করে ফিট হচ্ছে কিনা বা সস্তার হেডফোনগুলি এড়িয়ে চলুন। এয়ারপডস প্রো, সামস্যাং গ্যালাক্সি বাডস বা সোনি সংস্থার যে নয়েজ ক্যানসেলিং ইয়ারবাডস গুলিতে বাইরের কনও আওয়াজই কানের ভিতর প্রবেশ করে না। বাজার থেকে হেডফোন বা ইয়ারফোন কেনার সময় ৮৫ ডেসিবলের নীচে ভলিউম মাত্রা আছে কিনা দেখে নিতে পারেন। সেগুলি মোটেই দামি নয়। সেগুলি কিনতে পারেন।

আইপ্যাড বা আইফোন ব্যবহার করে থাকলে বাবা-মায়েরা ভলিউমের সেটআপ করে নিতে পারেন। এমন হেডফোন কিনুন যেটি সন্তানের জন্য নিরাপদ। হেডফোনের অডিয়ো স্তর চেক করে নিয়ে নোটিফিকেশনের ব্যবস্থা করে নিতে পারেন।