পৃথিবীর আয়তনের সাড়ে তিনগুণ নতুন ‘এক্সোপ্ল্যানেট’-এর হদিশ পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, রয়েছে সুস্পষ্ট বায়ুমণ্ডলও
আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদদের একটি দল এই এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করেছেন। ওই দলের পুরোধা ছিলেন ডক্টর জেনিফার বার্ট। নাসার জেপিএল ল্যাবের একজন এক্সোপ্ল্যানেট রিসার্চার ডক্টর বার্ট।
পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনও গ্রহে প্রাণের সন্ধান রয়েছে কি না, এই খোঁজ দীর্ঘদিন ধরেই চালাচ্ছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এবার এক নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন, এই নক্ষত্রে রয়েছে সুস্পষ্ট বায়ুমণ্ডল (rich atmosphere) এবং এখানে এমন আরও অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এই গ্রহকে নিয়ে গবেষণা করার জন্য বিজ্ঞানীদের বাধ্য করেছে। Planet TOI-1231 b- এর অবস্থান আমাদের পৃথিবী থেকে ৯০ আলোকবর্ষ দূরে। একটি লাল রঙের বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে এই গ্রহ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহ অনেকটা নেপচুনের মতো। এখানে রয়েছে একটি gaseous world।
পৃথিবীর আয়তনের সাড়ে তিন গুণ (three and a half times) হল এই গ্রহের আয়তন। ধরিত্রীর তুলনায় উষনতাও প্রায় ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এই নতুন আবিষ্কৃত গ্রহ প্রসঙ্গে নাসা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ যাবৎ যে সমত গ্রহের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে শীতল এই Planet TOI-1231 b। তুলনায় অন্যান্য গ্রহের থেকে আয়তনেও ছোট। আপাতত এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে কী কী উপাদান রয়েছে, স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে সেইসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে চান বৈজ্ঞানিকরা।
আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদদের একটি দল এই এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করেছেন। ওই দলের পুরোধা ছিলেন ডক্টর জেনিফার বার্ট। নাসার জেপিএল ল্যাবের একজন এক্সোপ্ল্যানেট রিসার্চার তথা গবেষক ডক্টর বার্ট। জানা গিয়েছে, ওই লাল বামন নক্ষত্রকে ২৪ দিনে একবার প্রদক্ষিণ সম্পন্ন করে এই এক্সোপ্ল্যানেট। এই প্রদক্ষিণকালেই Planet TOI-1231 b জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নজরে এসেছিল। এই গ্রহের তুলনামূলক শীতল দিকটি প্রদক্ষিণকালে ওই নক্ষত্রেরও তুলনামূলক শীতলদিকেই ছিল বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন যে, আকার-আয়তনের দিক থেকে এই গ্রহ বসবাসযোগ্য। আপাতত নেপচুনের আয়তনের এই এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কেমন তা বোঝার জন্য একটি বার-কোড জাতীয় রিডিং নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে বিজ্ঞানীরা।
বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন, নতুন গ্রহ প্রসঙ্গে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ আসলে এই জাতীয় অন্যান্য গ্রহের সঙ্গে, এক্সোপ্ল্যানেটের সঙ্গে, এমনকি আমাদের পৃথিবী, সৌরমণ্ডল… এইসবের সঙ্গে Planet TOI-1231 b- র তুলনা করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন- আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কাছে দৈত্যাকার ‘ব্লিঙ্কিং’ নক্ষত্রের সন্ধান পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা