লুনার ল্যান্ডিং টেকনোলজি সমেত New Shepard ‘NS-17’ স্পেসক্র্যাফট লঞ্চ করেছে জেফ বেজোসের সংস্থা ব্লু অরিজিন

ব্লু অরিজিনের New Shepard একটি ৬০ ফুট লম্বা পুরোপুরি অটোনমাস অর্থাৎ স্বশাসিত স্পেসক্র্যাফট। রকেট এবং ক্যাপস্যুলের কম্বো রয়েছে এই বিশেষ স্পেসক্র্যাফটে।

লুনার ল্যান্ডিং টেকনোলজি সমেত New Shepard 'NS-17' স্পেসক্র্যাফট লঞ্চ করেছে জেফ বেজোসের সংস্থা ব্লু অরিজিন
ছবি প্রতীকী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2021 | 8:18 PM

ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের প্রাক্তন সিইও জেফ বেজোসের স্পেস ফ্লাইট কোম্পানি ব্লু অরিজিন একটি New Shephard NS-17 স্পেসক্র্যাফট লঞ্চ করেছে ২৬ অগস্ট বৃহস্পতিবার। ব্লু অরিজিনের ওয়েস্ট টেক্সাস লঞ্চ সাইট থেকে ভারতীয় সময় সন্ধে ৭টা ৫মিনিটে এই স্পেসক্র্যাফট লঞ্চ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নাসার লুনার ল্যান্ডিং টেকনোলজি এই স্পেসক্রাফটের বাইরের অংশে থাকবে। আর ক্রু ক্যাপস্যুলের ভিতরে থাকবে বাণিজ্যিক এবং নাসা সমর্থিত গবেষণার জিনিসপত্র। একটি বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে জেফ বেজোসের সংস্থা। জানা গিয়েছে, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নাসার লুনার ল্যান্ডিং টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেশন নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে ব্লু অরিজিনের NS-17 স্পেসক্র্যাফট।

অন্যদিকে ব্লু অরিজিন সংস্থা এও জানিয়েছে যে, চলতি বছর তাদের New Shephard প্রোগ্রামে এই নিয়ে চতুর্থ ফ্লাইট উড়েছে যা সায়েন্টিফিক এবং রিসার্চ পেলোড নিয়ে পাড়ি দিয়েছে। এই স্পেসক্র্যাফট কিন্তু আবার পৃথিবীতে ফিরেও আসবে। যে বিশেষ ধরনের স্পেসক্র্যাফট ব্লু অরিজিন সদ্য লঞ্চ করেছে তা আসলে এই স্পেশ্যাল ক্যাটেগরির অর্থাৎ New Shephard- এর আট নম্বর ফ্লাইট। অর্থাৎ ২০২১ সালের New Shephard প্রোগ্রামের চতুর্থ উড়ান এবং New Shephard গোত্রের অষ্টম ফ্লাইট লঞ্চ করেছে ব্লু অরিজিন সংস্থা। সায়েন্টিফিক এবং রিসার্চ পেলোড নিয়ে মহাকাশে গিয়েছে এই স্পেসক্র্যাফট। আবার পৃথিবীতে ফিরেও আসবে জেফ বেজোসের সংস্থার এই স্পেসক্র্যাফট।

ব্লু অরিজিনের New Shepard একটি ৬০ ফুট লম্বা পুরোপুরি অটোনমাস অর্থাৎ স্বশাসিত স্পেসক্র্যাফট। রকেট এবং ক্যাপস্যুলের কম্বো রয়েছে এই বিশেষ স্পেসক্র্যাফটে। আর তাই স্পেসক্র্যাফটের ভিতর থেকে একে চালনা করা সম্ভব নয়। প্রথমবার NS-17 ফ্লাইট উড়েছিল ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। সেবার মূলত লুনার ল্যান্ডিং টেকনোলজি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চাঁদের অভিযানের ঝুঁকি কমানো এবং সফল অভিযানের জন্য মনোবল বাড়াতে ওই স্পেসক্র্যাফট লঞ্চ করেছিল ব্লু অরিজিন সংস্থা। এই একই উদ্দেশ্য নিয়ে দ্বিতীয়বার উড়েছে NS-17 ফ্লাইট। আগামী দিনে অর্থাৎ ভবিষ্যতে চন্দ্রপৃষ্ঠে যাতে রোবোটিক এবং মানুষের সাহায্য নিয়ে- দু’ধরনের অভিযানই করা সম্ভব হয়, সেই জন্যই এই লুনার ল্যান্ডিং প্রযুক্তি পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। চাঁদের বুকে বিভিন্ন রহস্যময় স্থানে যাতে নভশ্চররাও বিনা বাধায় পৌঁছে যেতে পারেন সেই জন্যই এইসব উন্নত ধরনের স্পেসক্র্যাফট পাঠিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখে নেওয়ার ক্রিয়াকলাপ চলছে।

আরও পড়ুন- NASA’s Mars Rover: রোভারের পাঠানো এই প্যানোরোমা ছবিটি দেখুন আর লাল গ্রহের রূপ দেখে বিস্মিত হয়ে যান