Falcon-9 রকেট উত্ক্ষেপনের আগে টেস্ট-ফায়ারে সফল SpaceX! আশা দেখছে নাসা
সব ঠিকঠাক থাকলে শনিবারই উত্ক্ষেপন করা হবে এই কমার্শিয়াল রকেটটি। তবে ব্যাকআপ লঞ্চের জন্য রবিবারকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা।
বিলিয়নেয়ার এলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স নাসার জন্য সপ্তাহান্তে ড্রাগন কার্গো উৎক্ষেপণের আগেই রকেটটির টেস্ট ফায়ার হল। গতকাল নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে স্পেসএক্সের ফ্যালকন রকেটের স্ট্যাটিক-ফায়ার টেস্টে সফল উত্ক্ষেপন করেছে বলে খবর।
স্পেসএক্স ড্রাগনের ২৩তম কমার্শিয়াল রিসাপ্লাই সার্ভিসেস (সিআরএস -২)) মিশনের উদ্বোধনের জন্য শনিবার, ২৮ অগস্টকে লক্ষ্য রেখেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে সবঠিকঠাক থাকলে শনিবারই উত্ক্ষেপন করা হবে এই কমার্শিয়াল রকেটটি। তবে ব্যাকআপ লঞ্চের জন্য রবিবারকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা।
পরীক্ষা সফল পাওয়ার স্পেসএক্স টুইট করে জানিয়েছে, যে স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সফল হয়েছে এবং নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সংস্থা শনিবার উত্ক্ষেপন করার পরিকল্পনা করেছে। স্পেসএক্স একটি টুইট লিখেছে, “স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পূর্ণ হয়েছে। – শনিবার, ২৮ অগস্ট ভোর ৩টে ৩৭ মিনিটে ড্রাগনের ২৩ কার্গো রিসাপ্লাই মিশনের ফ্যালকন ৯ উৎক্ষেপণ করা হবে। মিশনের লক্ষ্যই হল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) সরঞ্জাম পাঠানো।”
Static fire test complete – targeting Saturday, August 28 at 3:37 a.m. EDT for Falcon 9 launch of Dragon’s 23rd cargo resupply mission to the @space_station → https://t.co/bJFjLCzWdK
— SpaceX (@SpaceX) August 26, 2021
জানা গিয়েছে, ড্রাগন মহাকাশযানটি লিফট অফের প্রায় বারো মিনিট পর ফ্যালকন৯-র দ্বিতীয় পর্যায় থেকে পৃথক হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মহাকাশ স্টেশনে ডক করবে।
আগের রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে কোভিড -১৯ অতিমারির জেরে কোম্পানি তরল অক্সিজেনের ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছিল, তাই স্পেসএক্স রকেট উৎক্ষেপণ বিলম্বিত হয়। স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট এবং সিওও গুইন শটওয়েল বলেছিলেন যে তরল অক্সিজেনের অভাবে রকেট উৎক্ষেপণকে আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
তরল অক্সিজেনের সঙ্গে ক্রায়োজেনিক তরল মিথেনের মিশিয়ে স্পেসএক্সের র্যাপ্টর ইঞ্জিনগুলিকে জ্বালানি সরবরাহ করে। যা উত্ক্ষেপনের সময় যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবহৃত হয়। প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে হাতাপাতালে করোনা আক্রান্তদের জন্য অক্সিজেনের দরকার পড়ে। মানবিকতার খাতিরে তাই রকেট লঞ্চ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।