Cow’s Burp: গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য দায়ী গরুর ঢেকুর থেকে নির্গত ‘বিপজ্জনক’ মিথেন গ্যাসও, চাঞ্চল্যকর পর্যবেক্ষণ বিজ্ঞানীদের

Global Warming: বিজ্ঞানীদের মতে গরুর পেট থেকে বিষাক্ত মিথেন গ্যাস বের হচ্ছে। এটি একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, অর্থাৎ এটি এমন একটি গ্যাস যার কারণে পৃথিবী ক্রমাগত উষ্ণ হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এক বছরে একটি গরুর ঢেকুর থেকে যে পরিমাণ মিথেন গ্যাস বের হয় তা বছরে একটি গাড়ি থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডের সমান।

Cow's Burp: গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য দায়ী গরুর ঢেকুর থেকে নির্গত 'বিপজ্জনক' মিথেন গ্যাসও, চাঞ্চল্যকর পর্যবেক্ষণ বিজ্ঞানীদের
প্রতীকি ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2023 | 4:56 PM

Methane Gas: গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের (Global Warming) কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা এখন গরুকেও (Cow) দায়ী করছেন। কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিংয় বা জলবায়ু পরিবর্তনে (Climate Change) গরুর ভূমিকা কী! বিজ্ঞানীদের মতে গরুর পেট থেকে বিষাক্ত মিথেন গ্যাস (Methane Gas) বের হচ্ছে। এটি একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, অর্থাৎ এটি এমন একটি গ্যাস যার কারণে পৃথিবী ক্রমাগত উষ্ণ হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এক বছরে একটি গরুর ঢেকুর থেকে যে পরিমাণ মিথেন গ্যাস বের হয় তা বছরে একটি গাড়ি থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডের সমান। মিথেন গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়ে 25 গুণ বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। গরুর ঢেকুরের কারণে বিশ্ব উষ্ণায়নের পরিমান দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু এখন অনেক দেশের বিজ্ঞানীরাই এর নিশ্চিত প্রতিষেধক খুঁজছে।

এখন তাহলে প্রশ্ন আসে একা গরুই কি মিথেন গ্যাস ছাড়ে?

না। ছোট তিমি থেকে বড় প্রাণীদের খাবার হজম করার প্রক্রিয়ায় মিথেন গ্যাস নির্গত হয়। তবে তালিকার শীর্ষে গরুই রয়েছে। নাসার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি গরুর ফুসফুস থেকে সারা বছর 80 থেকে 120 কেজি মিথেন নির্গত হয়। একটি গাড়ি যখন সারা বছর চলে তখন এই পরিমান কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। তবে এটা বলা যাতাই পারে যে গাড়ি থেকেও দূষণ ঘটছে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য মিথেন গ্যাসই বেশি দায়ী।

cow's burp

বর্তমানে গরুর ঢেকুর কম ক্ষতিকর করার জন্য অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকগুলি 2018 সাল থেকেই চলছে। উদাহরণস্বরূপ, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া গরুকে একটি বিশেষ ধরনের ভ্যাকসিন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করেছিল যে এটি মিথেন উৎপাদন কমায় কি-না। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। দেখা গিয়েছিল ভ্যাকসিনের জন্য় গরুর দুধের পরিমান কমে যাচ্ছে। প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সের গবেষণা অনুসারে, যাতে গরু থেকে কম মিথেন গ্যাস নির্গত হয়, এর জন্য অনেক ধরণের ইনজেকশনও দেওয়া যেতে পারে। যেমন নাইট্রোঅক্সিপ্রোপ্যানাল এবং আয়নোফোরস। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের এই বক্তব্য়কে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছে। এরপরে বিজ্ঞানীদের দাবি করেছেন, প্রোবায়োটিক খাওয়ানোর পর গরু থেকে মিথেন গ্যাস কম বের হয়। বর্তমানে এই সমস্ত দাবি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অনেক বিজ্ঞানীরা বলছেন যে গরুর অন্ত্রে এমন একটি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, যাদের কাজ খাবার হজম করা। এমন অবস্থায় প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া কমাতে ভ্যাকসিন, ওষুধ বা বিভিন্ন ধরনের খাবার দেওয়া হলে তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।