ExoMars Mission: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব! মঙ্গলে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ অভিযান বাতিল করল ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি
ExoMars Mission: এক্সো মার্স অভিযানের মাধ্যমে মঙ্গলগ্রহে একটি ল্যান্ডার নাম প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধান করাই ছিল রাশিয়া এবং ইউরোপের মূল লক্ষ্য।
রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে এক্সো মার্স (Exomars) অভিযান করার পরিকল্পনা ছিল ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির (ESA)। কিন্তু আপাতত সেই যৌথ অভিযান স্থগিত করেছে ইউরোপ। কারণ ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আপাতত রাশিয়ার রসকমস (Roscomos) স্পেস এজেন্সির সঙ্গে একত্রে এক্সো মার্স অভিযান তারা করবে না। মূলত রাশিয়ার ইউক্রেনের উপর হামলার কারণেই এই স্পেস মিশন বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। বাস্তবে ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে রাশিয়ার উপর অনেক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে। আর সেই জন্যই ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি রাশিয়ার রসকমসের সঙ্গে যৌথ ভাবে এক্সো মার্স অভিযান না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। গত ১৬ এবং ১৭ মার্চ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর ইএসএ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে রাশিয়ার রসকমস স্পেস এজেন্সির সঙ্গে সহযোগিতার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তারা পর্যালোচনা করে দেখছে।
এক্সো মার্স মিশনের মূল লক্ষ্য
এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হল লালগ্রহের বুকে একটি ল্যান্ডার অবতরণ করানো। তারপর মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে খুঁজে দেখা যে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা। ২০২০ সালে প্রথম এই অভিযানের জন্য মহাকাশযান উৎক্ষেপণের কথা ছিল কিন্তু করোনার কারণে এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারনে পিছিয়ে যায় এই অভিযান। আর এখন রাশিয়া-ইউরোপের যৌথ অভিযানে বাধা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। মূলত রাশিয়ার এ ভাবে ইউক্রেনে উপর হামলা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি।
এর আগে রাশিয়ার স্পেস এজেন্সি রসকমস তাদের আধিকারিকদের সরিয়ে নিয়েছিল ফ্রেঞ্চ গুয়ানার Kourou বন্দর থেকে। সেক্ষেত্রে ব্যাঘাত হয়েছিল আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন প্রোগ্রামে। তবে শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই তা সম্পন্ন হয়। এছাড়াও রাশিয়ার তরফে আরও কড়া অবস্থান নেওয়া হয়েছিল। একাধিক শর্ত আরোপ করে ব্রিটিশ সংস্থার (ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি) একাধিক উপগ্রহ লঞ্চ থমকে দিয়েছিল রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস। শর্তপূরণ না হলে তারা যৌথভাবে মহাকাশ অভিযান সংক্রান্ত কোনও কাজ করবে না বলেও জানানো হয়েছিল সেই সময়।
মঙ্গলগ্রহে দীর্ঘদিন ধরেই প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধান করছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা। সেই প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজেই ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এবং রাশিয়ার রসকমসের যৌথভাবে এক্সোমার্স অভিযান করার কথা ছিল। মূলত পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা, বা কোনও গ্রহ প্রাণের বসবাসের উপযুক্ত ছিল কিনা বা আগামী দিনে হবে কিনা, তা জানতে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন গ্রহে অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশের স্পেস এজেন্সির তথা মহাকাশ সংস্থা।