Retina Scan: আপনি কি হৃদরোগে আক্রান্ত? চোখ স্ক্যান করে আগেই সম্ভাবনার কথা জানাবে Google-এরAI
Google AI Technology: গুগল 4 বছর আগে এই এআই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করে ফেলেছে। গুগল গবেষক এবং একটি স্বাস্থ্য দল ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি সনাক্ত করতে AI প্রযুক্তি তৈরি করেছে।
Google Retina Scan: বিজ্ঞানীদের পক্ষে সব সম্ভব। আর তারা এমন জিনিজ তৈরি করেন, যা অসাধ্য সাধন করতে সম্ভব। তারই একটি প্রমাণ হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বিগত কয়েক বছর ধরে যেভাবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ হয়ে চলেছে, তাতে আপনার প্রায় সবসময়ের সঙ্গী হয়েই থাকবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সকাল বেলা চোখ খোলার পর থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত এক পা-ও চলতে পারবেন না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাড়া। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হবে। যদিও এই সব একেবারেই আর কাল্পনিক বিষয় নেই। ইতিমধ্য়েই তার ব্যবহারও বিপুলভাবে চোখে পড়ছে। শিক্ষা হোক, কর্পোরেট বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজ হোক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সব জায়গাতেই তার জায়গা পাক্কা করে নিয়েছে। আর এই সব কিছুর মধ্যেই একটি আশ্চর্যজনক খবর প্রকাশ্যে এসেছে। বর্তমানে তার AI প্রযুক্তির সাহায্যে, গুগল চোখ স্ক্যান করে জানাবে যে ব্যক্তিটি হৃদরোগে আক্রান্ত কি না। অর্থাৎ হার্ড ডিজিজ জানার জন্য সিটি স্ক্যান, এমআরআই ও এক্স-রে করার প্রয়োজন হবে না আগামী সময়ে। ভাবছেন এমনটা আবার হয় নাকি? এমনটাই হতে চলেছে। তার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার শুধু বাস্তবায়নের পালা।
4 বছর আগে এই কাজ শুরু হয়েছে:
গুগল 4 বছর আগে এই এআই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করে ফেলেছে। গুগল গবেষক এবং একটি স্বাস্থ্য দল ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি সনাক্ত করতে AI প্রযুক্তি তৈরি করেছে। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগটি গোটা বিশ্বেই অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ। গবেষকরা একটি অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন, যা রোগের লক্ষণ চিনতে পারবে। আর বলে দিতে পারবেন ব্যক্তির চোখে কী সমস্যা রয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হল, চোখ স্ক্যান করার পর এই প্রযুক্তি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার চিকিৎসাও বলে দেয়। এই প্রযুক্তিতে, ব্যক্তির রেটিনা সঠিকভাবে স্ক্যান করা হবে।
ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে সাহায্য করবে:
এই এআই প্রযুক্তির কাজ এখানেই থেমে থাকেনি। এর সঙ্গে আরও অন্য অনেক রোগ সনাক্ত করার কাজ নিয়েছে এআই প্রযুক্তি। চলতি বছরের শুরুতে, গুগল একটি অ্যালগরিদম তৈরি করেছে। এটি একজন ব্যক্তির লিঙ্গ, ধূমপানের অভ্যাস এবং তার রেটিনা স্ক্যান করতে পারবে। তারপরেই তার শরীরে হার্ট অ্যাটাকের কোনও সম্ভাবনা আছে কি না, তারও পূর্বাভাস দিতে পারবে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তির রেটিনা স্ক্যান করে এটি সহজেই রোগ সনাক্ত করতে পারে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে, ডিমেনশিয়া, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, পারকিনসনস, আলঝেইমার এমনকি সিজোফ্রেনিয়ার মতো অন্যান্য রোগও প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা যাবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।