Mars Crater: পাথরের ধাক্কায় মঙ্গল গ্রহে বিরাট চমক! অবাক বিজ্ঞানীমহল

Mars Crater Image: 2018 সালের 24 ডিসেম্বর ইনসাইটের মাটির নীচে মঙ্গল গ্রহের পৃথিবী কেঁপে উঠেছিল। তাই বিজ্ঞানীরা প্রথমে ভেবেছিলেন এটি কেবল আর একটি ভূমিকম্প হবে। চার মাত্রার এই ভূমিকম্পটি আসলে একটি মহাকাশ পাথরের সংঘর্ষের ফলে হয়েছিল।

Mars Crater: পাথরের ধাক্কায় মঙ্গল গ্রহে বিরাট চমক! অবাক বিজ্ঞানীমহল
মঙ্গলের সেই গর্ত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2022 | 10:48 PM

Mars News: মঙ্গল গ্রহ আজও আমাদের কাছে কল্পনার জগৎ। তবে নাসা সহ বিশ্বের বেশ কিছু মহাকাশ সংস্থা এই গ্রহের কিছু ছবি তুলে ধরেছিল। আর সেই ছবিগুলি আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, মঙ্গল গ্রহ ভিতর থেকে ঠিক কীরকম দেখতে। 2018 সালের 26 নভেম্বর নাসার স্পেসক্রাফ্ট ইনসাইট মঙ্গল গ্রহে পৌঁছেছিল। স্পেসক্রাফ্টটি পৌঁছে যাওয়ার দৌলতে প্রথমবারের মতো এই বিশ্ব জানতে পেরেছিল যে, লাল গ্রহটি আসলে ঠিক কেমন দেখতে। চিত্তাকর্ষক কিছু ছবিও তুলে এনেছিল রোবটিক মহাকাশযানটি। এমনকি, মিশনটি অনেক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণও বলে মনে করা হয়েছিল। তবে ইনসাইট যে শুধুই মঙ্গল গ্রহের ভূমিকম্প সম্পর্কে জানিয়েছিল এমনটা নয়, লাল গ্রহের পৃষ্ঠতল কেমন হতে পারে সে সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছিল। সেই বছরেরই বড়দিনের সময় লাল গ্রহে আরও চমকপ্রদ কাণ্ড ঘটেছিল। কী ছিল সেই ঘটনা?

মঙ্গলে তুষারপাত

2018 সালের 24 ডিসেম্বর ইনসাইটের মাটির নীচে মঙ্গল গ্রহের পৃথিবী কেঁপে উঠেছিল। তাই বিজ্ঞানীরা প্রথমে ভেবেছিলেন এটি কেবল আর একটি ভূমিকম্প হবে। চার মাত্রার এই ভূমিকম্পটি আসলে একটি মহাকাশ পাথরের সংঘর্ষের ফলে হয়েছিল। এই শিলাটি দুই হাজার মাইল দূরে মঙ্গলের পৃষ্ঠে আঘাত হানে। ঘটনাটি মঙ্গলের গরম বিষুবরেখার কাছাকাছি একটি বড় গর্ত তৈরি করেছে। এই লাইনে গর্তের কারণে চকচকে বরফের টুকরো দৃশ্যমান ছিল।

একটি জীবের উপর অধ্যয়ন

গবেষকরা মঙ্গল গ্রহে একটি জীবাণু পরীক্ষা করেছেন। এই জীবের নাম ছিল ‘কোনান দ্য ব্যাকটেরিয়াম’। এই পরীক্ষার পরে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছিলেন যে, মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠের নীচে অনুরূপ একটি জীব বিকাশ করছে এবং গভীর ঘুমে রয়েছে, যা এখানে কঠোর পরিস্থিতি সহ্য করতে পারে।

নাসার অন্তর্দৃষ্টি কী

নাসা বলেছে যে, তাদের মিশন ইনসাইট মঙ্গল গ্রহে উৎক্ষেপণ, গ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করবে। এই অভিযানকে এক নতুন যুগের সূচনা বলে অভিহিত করা হয়েছে নাসার তরফে। মঙ্গলে এক বছর পৃথিবীর দুই বছরের সমান। নাসা বলছে, মঙ্গল গ্রহের পুরো এক বছর ধরে বিজ্ঞানীরা এখানে এর গতি ও তাপমাত্রা সম্পর্কিত দিকগুলো নিয়ে গবেষণা করেন।