Cigarette Butts: সিগারেটের শেষভাগ দিয়ে বালিশ-সফ্ট টয়ের স্টাফিং, পরিবেশ রক্ষার অন্য মন্ত্র ভারতীয়র
Stubs To Soft Toys: সিগরেটের বাট দিয়ে তৈরি হচ্ছে বালিশ এবং সফ্ট টয়ের অন্দরের স্টাফিং। একদিকে পরিবেশও যেমন রক্ষা করা যাচ্ছে এই উপায়ে, তেমনই আবার সফ্ট টয় তৈরির খরচেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে। আর এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখানোর কাণ্ডারির নাম দিল্লির নমন গুপ্তা।
Soft Toy Stuffing: আপনার বাড়ির বাচ্চাকে সফ্ট টয় নিশ্চয়ই কিনে দিয়েছেন বা দিয়ে এসেছেন? কিন্তু সেই সফ্ট টয়ের ভিতরে যে তুলতুলে নরম স্টাফিং দেওয়া হয়, সবক্ষেত্রেই তা কি তুলোর? ঠিক জানেন তো? দামি সফ্ট টয় থাকলে তার ভিতরের স্টাফিং তুলোর হতে পারে। সে বিষয়ে কোনও সন্দেহও নেই। কিন্তু কম দামি সফ্ট টয়ের ক্ষেত্রেও কি তুলোর স্টাফিং দেওয়া সম্ভব? ইদানিং দেশে অনেক সফ্ট টয়ের ভিতরেই দেওয়া হচ্ছে এমন এক স্টাফিং, যা সচরাচর ডাস্টবিনে বা অ্যাস্ট্রেতে দেখতে পাওয়া যায়। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, কী সেই উপাদান? সম্প্রতি বালিশ থেকে শুরু করে সফ্ট টয়ের ভিতরে সিগারেটের স্টাব বা বাটের স্টাফিং দিতে শুরু করেছে সংস্থা। আর এই পরিকল্পনা যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত, তিনি নমন গুপ্তা নামের এক ব্যবসায়ী।
উপাদানটি সিগারেটের বাট দিয়ে গঠিত, ফাইবারে বিভক্ত করা হয় এবং শহরের রাস্তাগুলি থেকে জড়ো করার পরে পরিষ্কার ও ব্লিচ করা হয়। হ্যাঁ, রাস্তা থেকে সিগারেটের বাটগুলি কুড়িয়ে নেওয়ার পরেই এই এত ধাপের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর সেগুলি স্টাফিং হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেগুলি ধূমপায়ীরা নিজেদের অ্যাস্ট্রেতে ফেলে দেন এবং সেই অ্যাস্ট্রে থেকে জমা হওয়া সিগারেট বাটগুলি পড়ে শহরের বড় কোনও ডাস্ট বা গারবেজ বিনে।
সিগারেটের বাট রিপ্রসেস করে সেগুলিকে সফ্ট টয় বা বালিশের অন্দরে স্টাফিং হিসেবে ভরার বিষয়টি যাঁর ব্রেইনচাইল্ড সেই নমন গুপ্তা সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের কাছে বলছেন, “আমরা 10 গ্রাম (প্রতিদিন ফাইবার) দিয়ে শুরু করেছিলাম এবং এখন আমরা 1,000 কিলোগ্রাম সিগারেট বাট রিসাইকেল করছি। এই ভাবে প্রতি বছরে আমরা লক্ষ লক্ষ সিগারেটের বাট রিসাইকেল করতে পারি।” দিল্লির আউটস্কার্টেই কারখানা রয়েছে নমন গুপ্তার।
তাঁর কর্মীরা বাটের বাইরের স্তর এবং তামাককেও আলাদা করেন, যা যথাক্রমে পুনর্ব্যবহৃত কাগজ এবং কম্পোস্ট পাউডারে পরিণত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমান করছে, প্রায় 267 মিলিয়ন মানুষ যা ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় 30 শতাংশ তামাক ব্যবহারকারী এবং শহুরে রাস্তায় যেখানে সাধারণ পরিচ্ছন্নতার মান অত্যন্ত কম।
নমন গুপ্তার কারখানার এক কর্মী পুনম বললেন, “সুতরাং, কোনও না কোনও দিক থেকে আমরা পরিবেশকে পরিষ্কার রাখতেও চেষ্টা করে যাচ্ছি।”