International Moon Day: চাঁদকে চেনার 54 বছর, চন্দ্রাভিযানে কত পথ এগল ভারত?
International Moon Day 2023: চলুন আজ ফিরে যাওয়া যাক 54 বছর আগে আজকের এই দিনটিতে। 20 জুলাই, 1969। বিশ্বের জন্য বিশেষ করে চাঁদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনেই চাঁদের মাটিতে পা রেখে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন আমেরিকার মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং।
Apollo 11: সে অনেক কাল আগের কথা। তার আগে চাঁদের বুড়ির কথা কেবল সাহিত্যের বইতেই সীমাবদ্ধ ছিল। চাঁদ পৃথিবীর উপগ্রহ, সেকথা সকলেই জানত। শুধু জানত না, সেটির ভূমি আসলে কেমন, সেখানে আর কী কী আছে? চলুন আজ ফিরে যাওয়া যাক 54 বছর আগে আজকের এই দিনটিতে। 20 জুলাই, 1969। বিশ্বের জন্য বিশেষ করে চাঁদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনেই চাঁদের মাটিতে পা রেখে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন আমেরিকার মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং। দিনটিকে স্মরণ করে রাষ্ট্রপুঞ্জ আজকের দিনটিতে আন্তর্জাতিক চন্দ্র দিবস (International Moon Day) পালন করে। এই দিনে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অ্যাপোলো 11 (Apollo 11) যান চাঁদে পৌঁছেছিল। নীল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করেছিলেন এবং সেই স্থানটির নামকরণ করা হয়েছে ট্রানকুইলিটি বেস। তারপর কেটে গিয়েছে বহু বছর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে গবেষণা করেছে চাঁদের অন্দরের। চাঁদের পরিবেশ, আবহাওয়া এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য এখন অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, চাঁদকে ঘিরে কোন দেশ কী-কী পরিকল্পনা করেছে।
কোন দেশের কী পরিকল্পনা?
বর্তমানে ভারত সহ বিশ্বের অনেক দেশ চাঁদে তাদের মহাকাশযান পাঠাতে তৎপর হয়েছে। আর্মস্ট্রং, অলড্রিনদের হাতে ইতিহাস সৃষ্টির 54 বছর পরেও চাঁদ নিয়ে গোটা বিশ্বজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোড়ন। এই মুহূর্তে চাঁদের দিকে এগোচ্ছে ভারতের চন্দ্রযান-3। রাশিয়া তার পরবর্তী লুনার ইয়ানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আগামী বছরের মধ্যে নাসার আর্টেমিস-2 মিশনও সম্পন্ন হবে। এরপর আর্টেমিস-3 অভিযানের মাধ্যমে প্রথম নারী ও কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষকে দীর্ঘ সময়ের জন্য চাঁদের পৃষ্ঠে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এই দিবস 54 বছর ধরে পালিত হচ্ছে না:
দুই বছর আগে এই চাঁদ দিবসের সূচনা হয়। ব্যাপারটা আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জ 2021 সালেই প্রথম আন্তর্জাতিক চাঁদ দিবস উদযাপনের ঘোষণা করেছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জ বলেছিল, “চাঁদে বিভিন্ন মিশন পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা সেই দিনটিকে ভুলে যেতে পারি না, যেদিন প্রথম নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন। তাই বর্তমানে বিভিন্ন মিশন অব্যাহত থাকলেও, এই দিনটি মনে রাখার মতো।”
চাঁদে অ্যাপোলো মিশনের ধারাবাহিক সাফল্য:
মিশনটি 1961 সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি পরিকল্পনা করেছিলেন। মিশনের মূল লক্ষ্য ছিল, মানুষকে চাঁদে পাঠানো এবং নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। একাজ মোটেই সহজ ছিল না। চাঁদে নিরাপদে অবতরণ করানো খুব কঠিন কাজ ছিল। এরপর 1969 সালের 20 জুলাই Apollo 11 চাঁদে পৌঁছাতে পেরেছিল। আর আমেরিকার এই সাফল্য ইতিহাস রচনা করেছিল।
আর্মস্ট্রং এবং অলড্রিন চাঁদে 21 ঘণ্টা থেকেছিলেন এবং চাঁদ থেকে 21.5 কেজি বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করেছিলেন। একই সময়, মাইকেল কলিন্স চাঁদের কক্ষপথে কলম্বিয়ার কমান্ড মডিউলে উপস্থিত ছিলেন। তারপর তিনজনই পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরে আসেন। 1972 সালে মোট 12 জন মার্কিন নাগরিক চাঁদে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেগুলিই ছিল আমেরিকার আরও ছ’টি অ্যাপোলো মিশন। ভবিষ্যতে আর কী-কী মিশন চাঁদে অবতরণ করে, তা অবশ্যই দেখার। তবে এই দিনটি যে কখনই কোনও বিশ্ববাসীর মন থেকে মুছবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।