১২ ঘণ্টার চেষ্টায় নাসার মহাকাশযানে ধরা পড়ল বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদের ভিডিয়ো!
সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল ক্রেটার বা গহ্বরগুলিও ওই ভিডিয়োতে স্পষ্ট। কয়েক সেকেন্ডের ভিডিয়ো, তবুও সেটি ক্যামেরাবন্দি করতে জুনোর প্রায় ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।
মহাজাগতিক জটিল সুন্দর ও বৈজ্ঞানিক জিনিসের হদিশ দেওয়া নাসার একটি অন্যতম কাজ।কিছু কিছু ভিডিয়ো ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতে না হতেই ভাইরাল হয়ে যায়। নাসার স্পেসক্রাফ্টগুলি আক্ষরিক অর্থেই আমাদের সৌরজগতের বাইরে ঘোরাফেরা করে ও সৌরজগতের নানান অজানা তথ্য ও পরীক্ষানিরীক্ষা করে সরবরাহ করে। তবে এমন কিছু ছবি নাসার হাতে এসেছে, যা অবিশ্বাস্য ও সাধারণ অবস্থায় তা চাক্ষুস করাও সম্ভব নয়। তেমনই একটি ছবি নানা পোস্ট করেছে, যা মহাকাশে অত্যন্ত বিরল একটি দৃশ্যে, যা এই মুহূর্তে হাজার হাজার হিট বেড়েই চলেছে।
নাসার জুনো মহাকাশযান সৌরজগতের সবচেয়ে বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির নিকটে রয়েছে। সেখানেই ধরা পড়েছে বৃহস্পতির চাঁদ বা উপগ্রহের ছবি। পৃথিবী ও উপগ্রহ ঘনিষ্ঠ ছবি বহুবার পৃথিবীতে পাঠিয়েছে বিভিন্ন মহাকাশযান। তবে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহ বহুবার কাছাকাছি এসেছে। তবে বৃহস্পতি ও শনির বাইরেও যে উপগ্রহ রয়েছে, তার সুস্পষ্ট থবি নাসার বিজ্ঞানীরা পাননি। ২০১৬ সাল থেকে জুনো মহাকাশযানটি পৃথিবীর বিভিন্ন ছবি প্রেরণ করে চলেছে। এই মুহূর্তে বৃহস্পতির চাঁদ গ্যানিমিডের সামনের অংশের ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে জুনো। এটি বৃহস্পতির উপগ্রহটি পুরু বরফে ঢাকা ও বরফের কঠিন থেকে তা গ্য়াসে পরিণত হয়েছে। জুনোর পাঠানো ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গ্যানিমিডের উপরিভাগের ছবি। সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল ক্রেটার বা গহ্বরগুলিও ওই ভিডিয়োতে স্পষ্ট। কয়েক সেকেন্ডের ভিডিয়ো, তবুও সেটি ক্যামেরাবন্দি করতে জুনোর প্রায় ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: শুক্র গ্রহে রহস্যজনক রাসায়নিক! অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্টি হতে পারে এই পদার্থ, মত বিজ্ঞানীদের