সূর্যের রয়েছে যমজ নক্ষত্র! হদিশ পেয়েছে নাসা, জানুন এই নতুন নক্ষত্রের খুঁটিনাটি

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, কার্যত টাইম মেশিনের কাজ করছে এই 'ইয়ং স্টার'। আর সেই সঙ্গে সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে সূর্য কেমন ছিল, সেটা বোঝাচ্ছে।

সূর্যের রয়েছে যমজ নক্ষত্র! হদিশ পেয়েছে নাসা, জানুন এই নতুন নক্ষত্রের খুঁটিনাটি
সূর্যের যমজ নক্ষত্র। ছবি প্রতীকী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2021 | 8:51 PM

সূর্যের মধ্যভাগ বা অন্তর্বর্তী অংশের তুলনায় পৃষ্ঠদেশ (সোলার করোনা) তাপমাত্রা কেন বেশি, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, সূর্যের একটি যমজ নক্ষত্র রয়েছে। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ৩০ আলোকবর্ষ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের এই যমজ নক্ষত্রের ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করে বোঝা যাচ্ছে সৃষ্টির প্রারম্ভে অর্থাৎ একদম আদি যুগে বা প্রথম অবস্থায় সৃষ্টির পর সূর্য আদতে কেমন ছিল। সৌর জগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নক্ষত্র সূর্য। ধরিত্রীতে প্রাণের সঞ্চার করেছে এই নক্ষত্র। শুধু তাই নয়, সৃষ্টির আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত শক্তি সরবরাহও করছে সে। অথচ এই নক্ষত্র নিয়ে হাজার কৌতূহল থাকলেও সূর্যের ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা খুব কমই জানতে পেরেছেন।

আজ থেকে বহু লক্ষ-কোটি বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিল সূর্য। সেই সময় কেমন ছিল এই নক্ষত্র তা জানা এখন একপ্রকার অসম্ভব। কিন্তু সূর্যের এই যমজ নক্ষত্রের থেকে সেই আদি পর্যায়ের বৈশিষ্ট্য বোঝা যাচ্ছে। সূর্যের যমজ এই নতুন নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, কার্যত টাইম মেশিনের কাজ করছে এই ‘ইয়ং স্টার’। আর সেই সঙ্গে সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে সূর্য কেমন ছিল, সেটা বোঝাচ্ছে। The Astrophysical Journal- এ এই প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে সূর্যের প্রভাবে কীভাবে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে, সেটাও সম্ভবত এই যমজ নক্ষত্র থেকে বোঝা যাবে। এর পাশাপাশি কীভাবে সূর্যের সৃষ্টি হয়েছিল, প্রাথমিক পর্যায়ে সৌর জগতে সূর্য কী প্রভাব ফেলেছিল, সেইসবই বোঝা যাবে সূর্যের যমজ নক্ষত্র থেকে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের এই যমজ নক্ষত্র ৬০০ থেকে ৭৫০ মিলিয়ন বছরের পুরনো। যেসময় পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সময় সূর্যের যা বয়স ছিল, এখন তার যমজ নক্ষত্রের বয়স সেটাই। উল্লেখ্য এখানে যমজ বলতে কিন্তু বয়স নয় বরং আকার-আকৃতি, বৈশিষ্ট্যের বিচারে বলা হয়েছে। এই যমজ নক্ষত্রের ভর এবং পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রা সূর্যের মতোই। অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যেহেতু এই যমজ নক্ষত্রের বয়স পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির সময়ে সূর্যের বয়সের কাছাকাছি, তাই সেই সময় সূর্য ঠিক কেমন ছিল, আকাশগঙ্গা ছায়াপথে তার প্রভাব কেমন ছিল এইসব গবেষণা করা যাবে।

আরও পড়ুন- তিনটি ছায়াপথের লড়াই! Hubble Space Telescope- এ ধরা পড়ল মহাকাশের অদ্ভুত দৃশ্য