Twin Asteroids: পৃথিবীর কাছেই যমজ গ্রহাণুর হদিশ পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, অনুমান এরাই নীলগ্রহের নবীনতম প্রতিবেশী

এই দুই গ্রহাণুকে ডি-টাইপ অ্যাস্টেরয়েড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Twin Asteroids: পৃথিবীর কাছেই যমজ গ্রহাণুর হদিশ পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, অনুমান এরাই নীলগ্রহের নবীনতম প্রতিবেশী
ছবি প্রতীকী। Photo Credit: Phys.org
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2022 | 8:45 PM

যমজ গ্রহাণু (Twin Ateroids) খুঁজে পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, এই আবিষ্কার বেশ আশ্চর্যজনক। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা এও বলছেন যে পৃথিবীর নবীন প্রতিবেশী (Earth’s newest neighbours) এই যমজ গ্রহাণু। এই দুই গ্রহাণুর মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৬ লক্ষ মাইল। অনুমান, একটি বড় গ্রহাণু থেকে (parent asteroid) খণ্ডিত হয়েই এই দুই যমজ গ্রহাণু তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা কয়েক শতক আগের বলে ধারণা করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আলাদা আলাদা ভাবে এই গ্রহাণুদের খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে। তবে আবিষ্কারের একমাসের মধ্যেই এই দুই গ্রহাণুর অরবিটিং প্যাটার্ন বা প্রদক্ষিণের বিষয়ে সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়ায় একটু খতিয়ে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন বৈজ্ঞানিকরা। এই গভীর পর্যবেক্ষণের সময় ওই দুই গ্রহাণু Asteroids 2019 PR2 এবং 2019 QR6 বিজ্ঞানীদের কিছুটা বিভ্রান্তিতে ফেলেছিল। সেই সময় ২০০৫ সালের আর্কাইভ করা Catalina Sky Survey data পর্যবেক্ষণ করে আকর্ষণীয় সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছিলেন।

বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা পর বিজ্ঞানীরা ওই দুই গ্রহাণুর আদিতে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। যমজ গ্রহাণুর অবস্থান কোথায় ছিল তা কিছুটা বোঝা সম্ভব হয়েছে। অরবিটার গণনার মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন যে বেশ কিছুদিন আগে পর্যন্তও এই দুই গ্রহাণু আসলে একটিই গ্রহাণু ছিল। দুটো মডেলে গবেষণা করে তাঁরা আরও বলেন যে, ২৩০ থেকে ৪২০ বছর কিংবা ২৬৫ থেকে ২৮০ বছর— এই দুইয়ের মধ্যেই মূল গ্রহাণু থেকে ভেঙে এই দুই গ্রহাণু তৈরি হয়েছে। Royal Astronomical Society journal মাসিক সংখ্যায় ৮ ফেব্রুয়ারি এইসংক্রান্ত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ওই গবেষণার পুরোধা Petr Fatka জানিয়েছেন, এরকম নব্য গ্রহাণু খুঁজে পাওয়া সত্যিই বেশ আশ্চর্যের ব্যাপার। আনুমানিক ৩০০ বছর আগে এদের সৃষ্টি হয়েছে। এমন গ্রহাণু সচরাচর সত্যিই দেখা যায় না। মহাজাগতিক বিষয়বস্তুর সময়কালের ক্ষেত্রে ৩০০ বছর নেহাতই কম। আর তাই এই যমজ গ্রহাণুর আবিষ্কার নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

সূত্রের খবর, এই দুই গ্রহাণুকে ডি-টাইপ অ্যাস্টেরয়েড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর অর্থ হল ওই গ্রহাণুর মধ্যে ভরপুর উপাদান রয়েছে যা অতিরিক্ত তাপমাত্রায় এলে সহজেই মহাকাশে বিলীন হয়ে যেতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কথায় সূর্যের কাছাকাছি ডি-টাইপ গ্রহাণু সহজে দেখা যায় না। অদ্ভুতভাবেই এই গ্রহাণুগুলি পৃথিবীর কক্ষপথের সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের এবং শনি গ্রহেরও কক্ষপথের কাছাকাছি চলে যায়। এই গ্রহাণুর বেশ কিছু উপকরণ নিয়ে বেশ বিভ্রান্তিতে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের অনুমান ধূমকেতুর মতো গ্যাসীয় উপাদান রয়েছে এই যমজ গ্রহাণুতে। তবে ধূমকেতুর মতো কোনও ক্রিয়াকলাপ এখনও দেখায়নি এই দুই গ্রহাণু। তাই ৩০০ বছর আগে কীভাবে একটি মূল গ্রহাণু থেকে এই যমজ গ্রহাণুর সৃষ্টি হল, তা নিয়ে রহস্য রয়েই গিয়েছে।

আরও পড়ুন- Supermountains: হারিয়ে যাওয়া ‘সুপারমাউন্টেন’ খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা, হিমালয়ের চেয়ে ৩ গুণ দীর্ঘ