Bacteria Produces Gold: খাবার খাওয়ার পর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় সোনা ত্যাগ এই ব্যাকটিরিয়ার, হতবাক বিজ্ঞানীরা
Bacteria Pooping Gold: এমনই একটা উচ্চ মাত্রায় বিষাক্ত ব্যাকটিরিয়ার সন্ধান মিলেছে, যা কোনও প্রাকৃতিক যৌগ থেকে সোনা সংশ্লেষণ করতে সক্ষম। গবেষকরা দেখেছেন, উচ্চ মাত্রায় বিষাক্ত এমন যৌগ খাওয়ার পরে মল হিসেবে সোনার নাগেট তৈরি করছে ওই ব্যাকটিরিয়া।
Gold From Bacteria: ব্যাকটিরিয়া কোনও বস্তুকে সোনায় রূপান্তরিত করতে পারে। যদি একথা বলি, বিশ্বাস করতে পারবেন? ভাববেন, তাহলে তো ব্যাকটিরিয়া ধরাই ভাল ছিল। তবে আপনি যাই ভাবুন না কেন, পুরো বিষয়টাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে পারবেন না। তার কারণ এমনই একটা ব্যাকটিরিয়ার সন্ধান মিলেছে, যা উচ্চ মাত্রায় বিষাক্ত। সেই ব্যাকটিরিয়াই যে কোনও প্রাকৃতিক যৌগ থেকে সোনা সংশ্লেষণ করতে সক্ষম। 2018 সালে আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল কাপরিয়াভিডাস মেটালিডুরানস (Cupriavidus Metallidurans) নামক একটি ব্যাকটিরিয়া, বিষাক্ত ধাতব যৌগগুলি খাওয়ার পরেও বেঁচে ছিল।
গবেষকরা লক্ষ্য করেন, বিষাক্ত যৌগ গ্রহণের পর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসেবে সোনার ক্ষুদ্র নাগেটস তৈরি করে ওই ব্যাকটিরিয়া। প্রসঙ্গত, পৃথিবীর অন্যান্য উপাদানের মতো সোনাও বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে পারে। সেই প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে জীবাণু থাকে, যা কোনও না কোনও ভাবে বেঁচে থাকে।
কীভাবে সোনা তৈরি করে ব্যাকটিরিয়া
কাপরিয়াভিডাস মেটালিডুরানস (Cupriavidus Metallidurans) নামক ব্যাকটিরিয়াটির আকার অনেকটা রডের মতো। রিসার্চটির মূল গবেষক জিওমাইক্রোবায়োলজিস্ট ফ্র্যাঙ্ক রেইথ 2009 সালে বলেছিলেন, “এই গবেষণার ফলাফল সোনার কমপ্লেক্সগুলির ডিটক্সিফিকেশনের সঙ্গে জড়িত, যা সোনার বায়োমিনারেল গঠনের দিকে পরিচালিত করে।” তার ঠিক 9 বছর পর 2018 সালে এই গবেষকরাই সঠিক প্রক্রিয়াটি খুঁজে পান, যা ব্যাকটিরিয়াটিকে সোনার ছিদ্র করে দেয়। সি. মেটালিডুরান নামক এই ব্যাকটিরিয়াটি হাইড্রোজেন এবং বিভিন্ন বিষাক্ত ভারী ধাতু উভয়ই ধারণ করে, এমন মাটিতে টিকে থাকতে পারে।
এই ধরনের পরিবেশে ব্যাকটিরিয়াগুলিকে বেঁচে থাকতে খুব বেশি প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না। সি. মেটালিডুরানে তামা এবং সোনার আয়ন রয়েছে, যা মিথস্ক্রিয়া করে এবং ব্যাকটিরিয়ামের অভ্যন্তরে গভীরভাবে অবস্থান করে সমস্যার সৃষ্টি করে। সেই সমস্যা এড়াতে ব্যাকটিরিয়াটি তাদের কোষ থেকে ধাতু অপসারণ করতে এনজ়াইম ব্যবহার করে। ঠিক এরকম ভাবেই তামার জন্য CupA নামক একটি এনজাইম কার্যকর হয়। সোনার ক্ষেত্রে এনজ়াইমটি চাপা পড়ে যায় এবং বিপজ্জনক সোনা ও তামার যৌগগুলি এই ব্যাকটিরিয়ার কোষের ভিতরেই থেকে যায়।
এখানে CopA নামক আর একটি এনজ়াইম জড়িত। এর সাহায্যে ব্যাকটিরিয়াটি, তামা এবং সোনার যৌগগুলিকে এমন আকারে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়, যা কোষ দ্বারা খুব সহজে শোষিত হতে পারে না। এই কারণে তামা এবং সোনার যৌগ কম পরিমাণে কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এটি নিশ্চিত করে যাতে ব্যাকটিরিয়া কম বিষাক্ত হয় এবং তামাকে বের করে দেয় এমন এনজাইম তার থেকে মুক্তি পেতে থাকে। পাশাপাশি এই প্রক্রিয়াটি ব্যাকটিরিয়ার পৃষ্ঠে সোনার ন্যানো পার্টিকেলগুলিকেও উপস্থিত হতে দেয়, যার ফলে সোনার ছিদ্রগুলি মল হিসেবে ত্যাগ করার বিষয়টি ব্যাকটিরিয়াটির জন্য আরও সহজ হয়ে ওঠে।