পারমাণবিক শক্তি চালিত ইঞ্জিনের সাহায্যে কম সময়ে মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠাতে চায় ব্রিটেন
সফল ভাবে এই নতুন নিউক্লিয়ার পাওয়ার ইঞ্জিন তৈরি হলে আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক মহাকাশ অভিযান সম্ভব হবে। যদি এই গবেষণা সফল হয় তাহলে, স্পেস ট্র্যাভেল বা মহাকাশ যাত্রার ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটে যাবে।
ব্রিটেনের স্পেস এজেন্সি মঙ্গলগ্রহে একটি মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনায় রয়েছে। বর্তমানে একটি মহাকাশযান লালগ্রহে পৌঁছতে যত সময় নেয়, তার থেকে অর্ধেক সময়ে যাতে নতুন মহাকাশযান মঙ্গলগ্রহে পৌঁছতে পারে সেদিকেই নজর রয়েছে ব্রিটেনের স্পেস এজেন্সির। পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন ইঞ্জিনের সাহায্যে চালিত হবে এই মহাকাশযান। আর সেই ইঞ্জিন তৈরি করবে Rolls Royce।
বলা হচ্ছে, এই বিশেষ ইঞ্জিন তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছেন নিউক্লিয়ার পাওয়ার বা পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন এই ‘গেম চেঞ্জার’ ইঞ্জিনের সাহায্যে মাত্র তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই নভশ্চরদের মঙ্গলগ্রহে পাঠানো সম্ভব। বর্তমানের বিভিন্ন রকেট বা মহাকাশযান যেসব কেমিক্যাল ইঞ্জিনের দ্বারা চালিত হয়, তার থেকে প্রায় দ্বিগুণ গতি হবে এই পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন ইঞ্জিনের। সফল ভাবে এই নতুন নিউক্লিয়ার পাওয়ার ইঞ্জিন তৈরি হলে আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক মহাকাশ অভিযান সম্ভব হবে। যদি এই গবেষণা সফল হয় তাহলে, স্পেস ট্র্যাভেল বা মহাকাশ যাত্রার ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটে যাবে।
UK Space Agency- র চিফ এক্সিকিউটিভ ডক্টর গ্রাহাম টার্নক সেই দেশের একটি সরকারি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, স্পেস নিউক্লিয়ার পাওয়া এবং প্রপালসন (কোনও বস্তুকে সামনে দিকে অগ্রসর করার জন্য তাকে ধাক্কা দেওয়া বা টানার যে অ্যাকশন বা কাজ হয়) আসলে খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ভাবনা। এই গবেষণা সফল হলে আরও গভীরে গিয়ে মহাকাশ অভিযান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্ভব। শুধু মঙ্গলগ্রহ নয়, অন্য অনেক গ্রহেও পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে। কেবলমাত্র যে সময় বাঁচবে তা নয়, আগামী দিনে যেসব নভশ্চর মঙ্গল অভিযানে যাবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে রেডিয়েশনের পরিমাণও কম হবে।
আরও পড়ুন- সূর্যের চারপাশে রঙিন বলয়! কীভাবে তৈরি হয় ২২ ডিগ্রি এই বৃত্ত?
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, Rolls Royce এর আগে রয়্যাল নেভি সাবমেরিনের ক্ষেত্রেও nuclear propulsion প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছে। এবার ইউকে স্পেস এজেন্সির মহাকাশযানের জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।