ভারতে লঞ্চ হল ট্রিয়াম্ফের নতুন মডেল ট্রাইডেন্ট ৬৬০, দাম শুরু ৬.৯৫ লক্ষ টাকা থেকে
ট্রাইডেন্ট ৬৬০ মডেল চালিয়ে আরোহীরা দারুণ অভিজ্ঞতা পাবেন। তাছাড়া এই বাইকের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় যথেষ্ট সহজ। অর্থাৎ কারও বুঝতে সমস্যা হবে না।
অবশেষে ভারতে লঞ্চ হল ট্রিয়াম্ফ মোটরসাইকেলের নতুন মডেল ট্রাইডেন্ট ৬৬০। এই বাইকের দাম ৬.৯৫ লক্ষ টাকা (এক্স শোরুম)। যদিও ট্রিয়াম্ফের ট্রিপল ইঞ্জিন রোডসাইডার রেঞ্জের এন্ট্রি লেভেল মডেল নয় ট্রাইডেন্ট ৬৬০। তবে নিঃসন্দেহে ট্রিয়াম্ফের ‘মোস্ট এফরডেবল মডেল’ এই বাইক। দেশের প্রায় সব প্রান্তেই ট্রিয়াম্ফের ডিলারশিপ থাকা শোরুমে এই বাইকের জন্য প্রিবুকিং নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বাইকের ডেলিভারি শুরু হবে বলে খবর। এই বাইকে রয়েছে আনলিমিটেড কিলোমিটার মাইলেজ। দু’বছরের মধ্যে ১৬০০ কিলোমিটার চলতে পারবে ট্রিয়াম্ফের নতুন বাইক ট্রাইডেন্ট ৬৬০।
এই বাইকের ডিজাইন তৈরি হয়েছে ট্রিয়াম্ফের হেডকোয়ার্টারে, অর্থাৎ ব্রিটেনের হিঙ্কলে- তে। এছাড়া Rodolfo Frascoli থেকেও ট্রাইডেন্ট ৬৬০ মডেল স্টাইলিং ইনপুট পেয়েছে। Rodolfo Frascoli এর আগে Tiger 900 (new) মডেলেরও ডিজাইন তৈরি করেছিল। ট্রাইডেন্ট ৬৬০ মডেলের সামনের অংশে রয়েছে ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং এলইডি লাইট (রাউন্ট শেপ)। এর ফলে সামনের দিক থেকে দেখলে এই বাইক দেখতে অনেক চওড়া লাগছে। ডুয়াল টোন কালার ফিনিশিং রয়েছে ফুয়েল ট্যাঙ্কে। ট্রাইডেন্ট ৬৬০ মডেল চালিয়ে আরোহীরা দারুণ অভিজ্ঞতা পাবেন। তাছাড়া এই বাইকের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় যথেষ্ট সহজ। অর্থাৎ কারও বুঝতে সমস্যা হবে না।
কী কী ফিচার রয়েছে ট্রিয়াম্ফ ট্রাইডেন্ট ৬৬০ মডেলে-
১। এই বাইকে রয়েছে ৬৬০ সিসির ইন-লাইন তিন সিলিন্ডারের ইঞ্জিন (80 bhp/64 Nm)। এছাড়া এই ইঞ্জিনে রয়েছে লিকুইড কুলড সিস্টেম।
২। ট্রাইডেন্ট ৬৬০ মডেলে রয়েছে ৪১ মিলিমিটারের Showa upside down forks এবং Showa monoshock, এটা আবার অ্যাডজাস্ট করা সম্ভব।
৩। ব্রেকিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করা হয় 310 mm discs up- এর সাহায্যে। ফ্রন্ট হুইল অর্থাৎ সামনের চাকায় রয়েছে two-piston Nissin calipers। আর পিছনের চাকায় রয়েছে single-piston Nissin calliper। ১৭ ইঞ্চির কাস্ট অ্যালুমিনিয়াম হুইল বা চাকা রয়েছে এই বাইকে।
৪। এই বাইকে রয়েছে রোড এবং রেন, এই দু’টি রাইডিং মোড। tubular steel chassis উপর ভিত্তি করে এই বাইকের মডেল তৈরি হয়েছে। এছাড়াও এই বাইকে রয়েছে অ্যান্টি ব্রেকিং সিস্টেম, ট্রাকশন কন্ট্রোল এবং ফুল এলইডি লাইট। এই বাইকে রয়েছে স্পেশ্যাল ‘মাই ট্রিয়াম্ফ’ কানেকটিভিটি সিস্টেম। এই সিস্টেমের সাহায্যে নতুন বাইক রাইডারদের ক্ষেত্রেও কোনও প্রযুক্তি বুঝতে সমস্যা হবে না।
৫। এই বাইকের ওজন ১৮৯ কেজি। রয়েছে একড়ি স্লিক ৬ স্পিড গিয়ারবক্স। সেই সঙ্গে সঙ্গে থাকছে স্লিপ ক্ল্যাচ।