৭৫ আসন পেয়েও অধরা ক্ষমতার স্বাদ, নীতীশের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করলেন তেজস্বী

সোমবার বিহারের রাজধানী পাটনায় সপ্তমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। ইতিমধ্যেই বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, এ বার দু'জন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করছে তারা। এই সবের মাঝে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন সকালেই আরজেডি-র টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। টুইটে লেখা হয়, 'জনগণের রায় না শুনে সরকারি নির্দেশ পালন করা হয়েছে। বিহারের বেকার, কৃষক, ঠিকা কর্মী, এবং শিক্ষককে জিজ্ঞেস করুন তাদের কী পরিস্থিতি। এনডিএ-র জালিয়াতিতে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি।'

৭৫ আসন পেয়েও অধরা ক্ষমতার স্বাদ, নীতীশের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করলেন তেজস্বী
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Nov 16, 2020 | 12:34 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল এনডিএ-র (NDA) পক্ষে গিয়েছে ঠিকই, তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছে আরজেডি (রাষ্ট্রীয় জনতা দল)। লালুপ্রসাদ যাদবের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও তেজস্বীর এই লড়াকু মনোভাবের প্রশংসা করেছেন রাজনীতির কারবারিরা। রাজ্যে সর্ববৃহৎ দল হওয়ার পরেও ক্ষমতা থেকে দূরে থাকার যে বেদন সোমবার প্রতিফলিত হল আরজেডি প্রধানের পদক্ষেপে। আমন্ত্রণ পেলেও নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

সোমবার বিহারের রাজধানী পাটনায় সপ্তমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। ইতিমধ্যেই বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, এ বার দু’জন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করছে তারা। এই সবের মাঝে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন সকালেই আরজেডি-র টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। টুইটে লেখা হয়, ‘জনগণের রায় না শুনে সরকারি নির্দেশ পালন করা হয়েছে। বিহারের বেকার, কৃষক, ঠিকা কর্মী, এবং শিক্ষককে জিজ্ঞেস করুন তাদের কী পরিস্থিতি। এনডিএ-র জালিয়াতিতে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি।’

ভিন্ন আরেকটি টুইটে বিজেপি ও জেডিইউ জোটকে তোপ দাগা হয় আরজেডি-র তরফে। ‘বিহারে দুই অসহায়ের এক অসহায় সরকার তৈরি হচ্ছে।’ এমনকী নীতীশ কুমারকে ‘শক্তিবিহীন, শিথিল, দুর্নীতিগ্রস্ত, অসহায় মুখ্যমন্ত্রী’ বলেও কটাক্ষ করেছে তারা। যেহেতু ৭৫টি আসন পেয়ে সবার উপরে লণ্ঠনছাপ জায়গা পেয়েছে, তাই বিহারবাসী তেজস্বীকেই নিজেদের সর্বাধিক প্রিয় নেতা হিসেবে স্বীকার করেছে বলে দাবি আরজেডি-র।

আক্ষরিক অর্থেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন ছিল রোমাঞ্চে ভরপুর। ভোট শুরু হওয়ার আগে লালু-বিহীন আরজেডি ধোপে টিকতে পারেনি। কিন্তু তেজস্বীর ৯ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতি রাতারাতি ‘গেমচেঞ্জার’ হয়ে ধরা দেয়। নির্বাচন শেষে সকল সংবাদ সংস্থার বুথ ফেরৎ সমীক্ষায় দেখতে পাওয়া যায়, বিপুল ব্যবধানে জিতছে আরজেডি। তবে ১০ নভেম্বর ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর সমস্ত অনুমান ও বুথফেরত সমীক্ষা উল্টেপাল্টে দিয়ে মধ্যরাত নাগাদ ১২৫টি আসন পেয়ে সরকার গঠন চূড়ান্ত করে ফেলে এনডিএ জোট। ৭৪টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপি জায়গা করে নেয়। জেডিইউ পায় ৪৩টি। কিন্তু বিরোধীদের আকাঙ্ক্ষায় জল ঢেলে ‘মহাগঠবন্ধন’-এর সবচেয়ে দুর্বল দল হিসেবে উঠে আসে কংগ্রেস। ৭০টি আসনে প্রার্থী দিলেও মাত্র ১৯টি আসনে জয়ী হয় তারা।