Online App Scam: প্রতারণার শিকার হাজার হাজার গ্রামবাসী!
অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমে রাতারাতি টাকা ডবল করার আশায় টাকা লাগিয়ে প্রতারণার শিকার কয়েক হাজার গ্রামবাসী। অ্যাপ চালু থাকলেও গত দুদিন আগেই এই অ্যাপস বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পূর্বস্থলীর কয়েকটি অঞ্চল থেকে প্রচুর প্রচুর মানুষ কয়েকশো কোটি টাকা লাগিয়ে তারা প্রতারণার শিকার।
পূর্বস্থলী: মূলত গ্রামের অভাবী মানুষজনরাই রাতারাতি টাকা ডবল করার আশায় এই অ্যাপ্সে টাকা লাগিয়েছে। কেউ বাড়ির গবাদি পশু বিক্রি করে বা কেউ সোনার গহনা বন্ধক দিয়ে বা জমিয়ে রাখা সঞ্চয়ের টাকা এই apps এ লাগিয়ে আজ সর্বশ্রান্ত। আবার অনেক গৃহবধূ সরকারের থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারে পাওয়া জমিয়ে রাখা টাকা এপ্সে লাগিয়ে আজ হাপিত্তেস করছে। এই অ্যাপসে টাকা লাগানো এমনও বেশ কিছু অভাবী পরিবার রয়েছে যাদের বাজার থেকে সবজি বা সংসারে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার টাকাও এই মুহূর্তে তাদের কাছে নেই। বাধ্য হয়েই শাক পাতা বা কচু শাক তুলে এনে দুবেলা পেট ভরাচ্ছে পরিবার।
পূর্বস্থলীর তামাঘাটা মাজিদা বেলের হল্ট সমুদ্রগড় পারুলিয়া সহ বিভিন্ন অঞ্চলের গ্রামগুলিতে মানুষ এই অ্যাপসে টাকা লাগিয়েছে বেশি টাকা পাওয়ার আশায়। জানা গেছে এই গ্রামেরই সন্দীপ সেন নামে এক ব্যক্তি এই অঞ্চলে এই প্রতারণার অ্যাপস নিয়ে আসে।সে তৃনমূল দলের সঙ্গে জড়িত।এছাড়াও প্রাণীবন্ধু। সন্দীপ এলাকার কিছু যুবকদের এজেন্ট মারফত কাজে লাগায়।সকলে মিলেই টাকা ডবল করার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা তুলতে থাকে।প্রথম প্রথম অল্প পরিমাণে টাকা ব্যাক দেওয়া হয়। এইভাবে পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেই পূর্বস্থলী ১ ও ২ ব্লক থেকে সহ বিভিন্ন অঞ্চল ও এমনকি আশেপাশে জেলা থেকেও কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছে। দিন দুয়েক আগেই বন্ধ হয়ে যায় এই অ্যাপস। মাথায় হাত অভাবী গরিব মানুষজনদের। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছে এই অ্যাপস মূলত বাইরের দেশের বলে প্রাথমিক ধারণা। কোথা থেকে চালানো হতো বা কে রয়েছে এই চক্রের মাথায় সে বিষয়ে কিছুই জানে না গ্রামবাসীরা।
অন্য দিকে সন্দীপ সেন গ্রামছেড়ে পলাতক।সে তৃনমূল দলের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবী তৃনমূল দলের।