Viral Video: টার্গেট পূরণ হয়নি বলে অভব্য আচরণ, অকথ্য বাংলা ভাষায় ভর্ৎসনা, সিনিয়ার ভিপিকে বরখাস্ত করল HDFC
Latest Viral Video: টার্গেট পূরণ না হওয়া, সেলসে ভাল পারফর্ম করতে না পারা, এসবের জন্যই তিনি কর্মীদের ভর্ৎসনা করছিলেন। প্রচণ্ড চিৎকার করে তিনি বকাবকি করছিলেন এক-এক করে কর্মীদের নাম ধরেই। ওই কর্মকর্তার নাম পুষ্পল রায়। তিনি HDFC Bank-এর কলকাতার একটি শাখার ক্লাস্টার হেড ছিলেন।
Latest Viral Video: সোমবার HDFC Bank তাদের কলকাতার এক সিনিয়ার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে। অনলাইন মিটিং চলার সময় তিনি অধঃস্তন কর্মীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছিলেন। অনলাইনে সেই ভিডিয়ো ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষজন রীতিমতো ক্ষোভ জানাতে থাকেন। টার্গেট পূরণ না হওয়া, সেলসে ভাল পারফর্ম করতে না পারা, এসবের জন্যই তিনি কর্মীদের ভর্ৎসনা করছিলেন। প্রচণ্ড চিৎকার করে তিনি বকাবকি করছিলেন এক-এক করে কর্মীদের নাম ধরেই। ওই কর্মকর্তার নাম পুষ্পল রায়। তিনি HDFC Bank-এর কলকাতার একটি শাখার ক্লাস্টার হেড ছিলেন। এতটাই দুর্ব্যবহার তিনি করেছিলেন যে, ভিডিয়ো মিটেই দেখা গিয়েছে কর্মীরা সকলে ভয়ে তটস্থ ছিলেন।
লিঙ্কডইনে ভিডিয়োটি প্রথমে শেয়ার করেছিলেন সৌমি চক্রবর্তী নামের এক ইউজার। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুষ্পল রায় তাঁদের কর্মীদের কাজের স্টেটাস এবং টার্গেট নিয়ে আলোচনা করতে বসে মেজাজ হারাচ্ছিলেন। সকলের কাজের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করতে গিয়ে তাঁকে কড়া সুরে একজনকে প্রথমেই ‘চুপ কর’ বলতে শোনা গিয়েছে। জন নামের এক কর্মীকে তিনি বললেন, “তোমার জন্য আমার CPI স্কোর হল 77। আজই আমি তিতির এবং তোমার কাছে একটি HR মেমো ইস্যু করব।”
An HDFC Bank Senior VP is seen shouting at his employees for not meeting targets
Confirmed from a friend who understands Bengali, he is asking his junior to sell 75 insurance policies in a day?
Is this why these bank employees missell us policies and investment products? pic.twitter.com/SGNabDZinR
— CA Kanan Bahl (@BahlKanan) June 5, 2023
এভাবেই কারও কাছে অ্যাকাউন্টে ওপেনিংয়ের হিসেব চাইলেন। কখনও আবার নতুন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বাড়ছে না কেন, তারও হিসেব নিকেশ চেয়ে খুব খারাপ ভাবে বকাবকি করলেন। কখনও সাগ্নিককে বকলেন, কখনও আবার বিশ্বনাথকে ভিডিয়ো মিটে তাঁর ‘থোবড়া’ দেখাতে বললেন। সমগ্র ভিডিয়োটা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষজন তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কর্মস্থল যে কতটা বিষাক্ত হতে পারে, অনলাইন মিটিংই যদি এতটা বিষাক্ত হয়, তাহলে অফিসে কীরকম আচরণ করা হয় কর্মীদের সঙ্গে, এই প্রশ্নই তুলে দিয়েছেন নেটিজ়েনদের একটা বড় অংশ।
ব্যাঙ্কের তরফে পরবর্তীতে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, কর্মক্ষেত্রে যে কোনও রকমের দুর্ব্যবহারের জন্য তারা ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলে। কর্মীদের সঙ্গে কেউ ভাল ভাবে আচরণ না করলে এরকমই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
HDFC Bank-এর তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার একটি রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এ কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একটি বিস্তারিত তদন্ত শুরু করা হয়েছে যা ব্যাঙ্কের আচরণ নির্দেশিকা অনুযায়ী করা হবে।”