Viral News: মাত্র ৮.৩৬ টাকায় ২০৫ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করলেন কর্ণাটকের কৃষক, ভাইরাল রসিদ ঘিরে তুমুল হইচই
205 Kg Onion At Rs 8.36: ২০৫ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলেন কর্ণাটকের এক কৃষক। তার জন্য দাম পেলেন মাত্র ৮.৩৬ টাকা। এত কম দামে এই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ বিক্রয়ের একটি রিসিপ্ট ইন্টারনেটে ঘোরাফেরা করছে।
২০৫ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলেন কর্ণাটকের এক কৃষক। তার জন্য দাম পেলেন মাত্র ৮.৩৬ টাকা। কর্ণাটকের গদগ জেলার এই ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এত কম দামে এই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ বিক্রয়ের একটি রিসিপ্ট ইন্টারনেটে ঘোরাফেরা করছে। আর তা দেখেই নেটপাড়ার লোকজনের চক্ষু চড়কগাছ। এই ছবি যেন সত্যিই দেশের কৃষকদের নিদারুণ পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে নেটপাড়ার লোকজনকে।
এদিকে মাত্র ৮.৩৬ টাকায় ২০৫ কেজি পেঁয়াজ বিক্রির এই রিসিপ্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই ধরনের আরও একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এটি শুধুই গদগ জেলার ঘটনা নয়। জেলার সমস্ত পেঁয়াজ চাষিরা বেঙ্গালুরুর যশবন্তপুর বাজারে তাঁদের পণ্য প্রতি ১০ টাকা কর কম পাচ্ছেন। সবথেকে বড় উদ্বেগের বিষয়টি হল, গদগ থেকে বেঙ্গালুরু পৌঁছতে দীর্ঘ 416 কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয় কৃষকদের।
যে কৃষকের এই রসিদটি ভাইরাল হয়েছে, তাঁর নাম পাভাদেপ্পা হালিকেরি। পাইকার বিক্রেতা ওই কৃষককে ২০৫ কেজি পেঁয়াজের দাম প্রতি কুইন্টালে ২০০ টাকা করে ধার্য করেছেন। তারপরে আবার মালবাহী চার্জের জন্য ২৭৭ টাকা এবং পোর্টার চার্জের জন্য আরও ২৪ টাকা টাকা হয়। তাহলে আর থাকল কী! এই জেলারই আর এক কৃষক, যিনি ২১২ কেজি পেঁয়াজ নিয়ে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন, তিনি আবার মোট ১,০০০ টাকা পেয়েছেন।
কিন্তু, পোর্টার কমিশন, ট্রান্সপোর্ট চার্জ, হামালি চার্জ ইত্যাদি খাতে টাকা কেটে নেওয়ার পরে, তিনি মাত্র ১০ টাকা পেয়েছেন। এদিকে অবিরাম বর্ষণে বিপর্যস্ত কৃষকরা ভাল ফসল তুলতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু, পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় পুরো জেলার কৃষকদের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এমনই একটা সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, কৃষিমন্ত্রী এবং গদগের জেলা ইনচার্জ মন্ত্রী বি. সি, পাতিলের এখনই এগিয়ে এসে কৃষকদের সাহায্য করা উচিত।