পুলিশের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে ঘুমিয়েই পড়ল চোর! পুলিশই এসে ঘুম ভাঙাল তার

চোরের ঘুম ভাঙাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে ওই পুলিশ অফিসারকে। রীতমতো চিৎকার-চেঁচামেচি করে চোরের সুখনিদ্রা ভাঙাতে হয়েছে। তারপর তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে ঘুমিয়েই পড়ল চোর! পুলিশই এসে ঘুম ভাঙাল তার
চুরি না করে এসি চালিয়ে সুখনিদ্রা দিচ্ছিল চোর।
Follow Us:
| Updated on: Mar 28, 2021 | 12:56 PM

পুলিশের বাড়িতে চুরি করতে গিয়েছিল এক চোর। তারপর সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছিল সে। শেষ পর্যন্তের পুলিশ এসে ঘুম ভাঙিয়েছে ওই চোরের। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ঘটেছে এমন কাণ্ড।

থাইল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ মার্চ ঘটেছে এই হাস্যকর ঘটনা। থাইল্যান্ডের সেন্ট্রাল প্রভিন্স Phetchabun এলাকায় এক বাড়ির মালিক ঘুম থেকে উঠে চমকে গিয়েছিলেন। কারণ তাঁর বাড়িরই একটি বেডরুমে ঘুমাচ্ছিল এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। প্রথমে চমকে গেলেও, পরের বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয় এই ব্যক্তি নির্ঘাত চোর। পেশায় পুলিশকর্মী হওয়ায় বিপদ আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন- দাঁতাল হাতির পিছু নিয়েছিল পর্যটকদের গাড়ি, মেজাজ হারিয়ে পাল্টা জবাব দিল গজরাজ, দেখুন ভাইরাল ভিডিয়ো

জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ অফিসারের নাম Jiam Prasert। তিনি Wichian Buri জেলার থানায় sword অফিসার হিসেবে কর্তব্যরত রয়েছেন। তাঁর বাড়িতেই চুরি করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল এই চোর। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের বয়স ২২ বছরের আশপাশে। তার নাম Athit Kin Khunthud। পুলিশ অফিসারের বাড়িতে চুরি করার আগে ওই এলাকায় বেশ কয়েকদিন রেইকি করেছিল সে। তারপর পুলিশ আধিকারিকের বাড়িটিকেই নিশানা বানিয়েছিল সে। তবে বোধহয় বাড়ির মালিকের পেশাটা জানত না সে। নাহলে এতটা বোকামি বোধহয় করত না ওই চোর।

জানা গিয়েছে, গভীর রাতে ২টো নাগাদ চুরি করতে ওই বাড়িতে ঢুকেছিল যে। কিন্তু আগের দিন বোধহয় ভাল ঘুম হয়নি। তাই চুরি না করে এসি চালিয়ে সুখনিদ্রা দিতে চলে যায় সে। ভেবেছিল বোধহয় যে কেউ ওঠার আগেই নিজে উঠে হাতসাফাইয়ের কাজ সেরে চম্পট দেবে। তবে সে গুড়ে বালি। ক্লান্ত শরীরে এসি ঘরে আরামের ঘুম আর ভাঙেনি চোরবাবাজির। বাড়ির সবাই অবশ্য চোর ঢোকার সময় ঘুমাচ্ছিলেন। তবে ভোরের দিকে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় গৃহকর্তা নিজের বেডরুম ছেড়ে বেরনোর পর এই চোরকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন।

ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সকালে উঠে তিনি দেখেছিলেন মেয়ের ঘরে এসি চলছে। এদিকে মেয়ে বাড়িতে নেই। এই কারণেই সন্দেহ জাগে তাঁর মনে। তারপর মেয়ের ঘরে ঢুকতেই জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায় সবটা। কম্বলের তলা থেকে মেয়ের বদলে চোরকে উদ্ধার করেন ওই পুলিশ আধিকারিক। তবে চোরের ঘুম ভাঙাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে ওই পুলিশ অফিসারকে। রীতমতো চিৎকার-চেঁচামেচি করে চোরের সুখনিদ্রা ভাঙাতে হয়েছে। তারপর তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।