Viral Video: সেজেগুজে বেড়াতে গিয়ে বাঁদরদের ভয়ঙ্কর আক্রমণের শিকার মহিলা, দেখুন ভিডিয়ো
Monkey Attack Video: ইনস্টাগ্রামে একটি রিলস ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বাঁদরদলের আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচাতে কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এক মহিলা। সুন্দর পোশাক পরে বেড়াতে গিয়ে যে তার উপরে এই ভাবে বাঁদররা ঝাঁপিয়ে পড়বে, তা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি।
ভ্রমণে যাওয়ার আগে আপনি নিশ্চয়ই মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, সমুদ্র সৈকত বা মুখরোচক খাবারগুলির কথা ভাবেন নিশ্চয়ই। কিন্তু আপনি কি কখনও বেড়াতে যাওয়ার সময় বাঁদরদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কথা ভেবেছেন? এর উত্তর না ছাড়া হ্যাঁ তো হতে পারে না। আপনার মতো একই কথা ভেবেছিলেন এই মহিলা। তাঁর ধারণাও ছিল না যে, একটি নয়, একটা বাঁদরের দল আক্রমণ করবে তাঁকে। ইনস্টাগ্রামে একটি রিলস ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বাঁদরদলের আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচাতে কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এক মহিলা। সুন্দর পোশাক পরে বেড়াতে গিয়ে যে তার উপরে এই ভাবে বাঁদররা ঝাঁপিয়ে পড়বে, তা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। ভাগ্যক্রমে, তিনি কোনও আঘাত পাননি। কিন্তু ভয় যে পেয়েছেন, তা তাঁর চোখেমুখে স্পষ্ট। ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “বাঁদর ভাইরা।”
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা এই রিল দেখার পরে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বাঁদরদের ফাঁদে দিদি”। আর একজন মন্তব্য করেছেন, “আরে ফাঁস গয়ি রাজিয়া (রাজিয়া ফাঁদে পড়ে গিয়েছেন)।” এটি আসলে একটি বলিউড ছবির গান, “রাজিয়া গুন্ডো মেঁ ফাঁস গয়ি।” এই গানটাই ইনস্টা রিলস ভিডিয়োটিতে ব্যবহৃত হয়েছে, যা রিলের বিষয়বস্তুর সঙ্গে অনেকটাই মিলে গিয়েছে। 2011-র রোম্যান্টিক কমেডি ‘থ্যাঙ্ক ইউ’-র গান এটি, ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন অনিস বাজমি।
View this post on Instagram
গত বছরও সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঁদরের আক্রমণের অনুরূপ ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে দুই বছর বয়সী পাওলিনা নামে একটি শিশুকে বাঁদররা নির্মমভাবে আক্রমণ করেছিল। মেয়েটি ছিল ইউক্রেন থেকে আসা এক শরণার্থী। রাশিয়ান গ্রামে টেরপিগোরিভোতে মেয়েটিকে আক্রমণ করা হয়েছিল, যেখানে প্রতিবেশী এবং পারিবারিক বন্ধুর দ্বারা আশ্রয় পেয়ে সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করছিল।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, পাউলিনা একটি সিঁড়ি বেয়ে উঠছে। সেই সময়ই প্রাণীটিকে হুট করে এসে তাকে কামড় দেয়। শিশুটির চিৎকার শুনে তার বাবা-মা বাড়ি থেকে ছুটে আসেন। তখন তাঁরা দেখেন তাঁদের মেয়েকে বাঁদরের আক্রমণের সবচেয়ে বেদনাদায়ক দৃশ্যটি। মেয়েকে মুক্ত করার অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি তাঁরা। মেয়েটিকে আঘাত করতেই থাকে ওই বাঁদরটি। অনে চেষ্টার পর মেয়েকে বাঁদরের আক্রমণ থেকে বাঁচান তাঁরা।
ওই বাঁদরটির মালিকের বাড়িতে ছোটখাটো একটি চিড়িয়াখানা ছিল। সেখানে হাতি, নেকড়ের মতো প্রাণীরা থাকতো।