জাতীয় সড়কে ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা, লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ বাইক আরোহীর!
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দুই বছর চব্বিশের ষুবক কুরবান মির্জা ও মণি দুজনেই পেশায় মার্বেল মিস্ত্রি। একজনের বাড়ি বাবলায় এবং অন্যজন শিমুলিয়ার বাসিন্দা। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক লরিটির সন্ধানে পুলিশ।
পূর্ব বর্ধমান: জাতীয় সড়কে ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident)। বুধবার সকালে, পূর্ব বর্ধমানের বড়দিঘির তিড়িঙ্গি মোড়ের কাছে একটি মোটরবাইকের পেছনে ধাক্কা মারে একটি লরি। বাইক চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি দশ চাকার লরিতে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু (Death) হয় বাইকের চালক-সহ অন্য আরোহীর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে, কলকাতা থেকে দুর্গাপুরগামী একটি লরি দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। আচমকা গতি হারিয়ে গাড়িটি সামনের বাইকটিকে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা দশ চাকার লরিতে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই বাইক আরোহী। তাঁদের রক্তাক্ত মৃতদেহ (Dead Body) দুটি উদ্ধার হয়। ততক্ষণে লরি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই চালক। খবর দেওয়া হয় গলসি থানায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দুই বছর চব্বিশের ষুবক কুরবান মির্জা ও মণি দুজনেই পেশায় মার্বেল মিস্ত্রি। একজনের বাড়ি বাবলায় এবং অন্যজন শিমুলিয়ার বাসিন্দা। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক লরিটির সন্ধানে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে পালসিটে এই ২ নম্বর জাতীয় সড়কেই (2no. National Highway) ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। কলকাতা থেকে দুর্গাপুরগামী একটি ট্রাক ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক জনকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই চার জনের জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন। উল্লেখ্য, এই রাস্তায় পরপর দুর্ঘটনার জেরে পুলিশের নজরদারি বেড়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি কিছুই। বারবার দুর্ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত নিত্যযাত্রীরাও। তাঁদের দাবি, গতিতে নিয়ন্ত্রণ আনুক প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনা ঠেকাতে নানা সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ওরা ‘একই বৃ্ন্তে দুটি কুসুম’ রুহুল-শুভঙ্কর, চোখের জলে স্বজনহারানো বন্ধুকে বাড়ি ফেরাল কিশোর