Student Death: স্কুলছাত্রীকে সিঁদুর পরাচ্ছে যুবক, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই আত্মঘাতী কিশোরী
সিঁদুর পরানোর ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই আত্মঘাতী ছাত্রী।
দাসপুর: স্কুলের পোশাক পরা এক কিশোরীকে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছে এক যুবক। আর সিঁথি রাঙা করে খুশিতে উদ্বেলিত কিশোরীও। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে প্রেমের গান। এমনই একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল কিশোরী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) দাসপুরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দাসপুরের (Daspur) নিজামপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরী এলাকার পার্বতীপুর এম.ডি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তারই সিঁদুর পরার ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে। তার জেরেই অপমানে কিশোরীটি আত্মঘাতী হয়েছে বলে অভিযোগ। নিজের ঘর থেকে কিশোরীটির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে দাসপুর থানার পুলিশ (Daspur Police)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাসপুরের নিজামপুরের কিশোরীর সিঁদুর পরার ভিডিয়োটি সোমবারই ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কিশোরীটির সঙ্গে যে যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, সে-ই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছে বলে অভিযোগ। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ঘরে-বাইরে হাজারো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় কিশোরীকে। এরপর এদিন সকালে তার মা-বাবা বাড়িতে ছিলেন না। বেলা ১০টা নাগাদ কিশোরীর এক সহপাঠী স্কুলে যাওয়ার জন্য তাকে ডাকতে আসে। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় চিৎকার করে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করে। কিন্তু, সাড়া না পাওয়ায় সে ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানায়। এরপর প্রতিবেশী ও কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর ঢোকেন এবং দেখেন, সিলিং থেকে ঝুলছে কিশোরী। তারপর খবর পেয়ে দাসপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
গলায় দড়ি দিয়ে কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি তার পরিবার-প্রতিবেশীর। এই ঘটনায় কিশোরীর প্রেমিকের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে। কিশোরীর কাকা জানান, পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদার একটি ছেলের সঙ্গে তাঁর ভাইঝির প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল। তারপর সোমবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, সেই যুবক তাকে সিঁদুর পড়াচ্ছে। ছেলেটিই ওই ভিডিয়ো ফেসবুকে পোস্ট করেছে। তারপর পরিবার, আত্মীয়রা ফোন করে এই বিষয়ে জানতে চাইছে। এতেই তাঁর ভাইঝি অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি কিশোরীর কাকার। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর সোমবারই দাসপুর থানায় তাঁরা অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি। গোটা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে দাসপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে।