BJP Panchayet Member: ‘পঞ্চায়েতে আমি বিজেপির সদস্য, তাই কাজ করতে দিচ্ছে না’, তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে নালিশ

BJP: কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওঁরাও বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকেও এ বিষয়ে জানাবেন। আর তাতে যদি কাজ না হয় তা হলে সরাসরি বিধানসভায় এই বিষয়টি উত্থাপিত করবেন।

BJP Panchayet Member: 'পঞ্চায়েতে আমি বিজেপির সদস্য, তাই কাজ করতে দিচ্ছে না', তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে নালিশ
বিজেপি সদস্যকে কাজ না দেওয়ার অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2021 | 7:22 AM

আলিপুরদুয়ার: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য। এদিকে গ্রামপঞ্চায়েত তৃণমূলের। অভিযোগ, তাই পঞ্চায়েত সদস্যকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার এলাকার বিজেপি বিধায়কের দ্বারস্থ হলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের ঘটনা।

কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি-১অঞ্চলের ১০/১৪৯ নম্বর বুথ। পঞ্চায়েত সদস্যা সুমিত্রা রায়ের অভিযোগ তাঁর এলাকায় ১০০ দিনের কাজ করাতে দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিওর দুয়ারে ঘুরেও কাজ পাচ্ছেন না তিনি। এর ফলে তাঁর বুথ এলাকায় কোনও উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না বলেও অভিযোগ সুমিত্রা রায়ের।

সুমিত্রা রায় অভিযোগ করেছেন, গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান, বিডিওকেও এ বিষয়ে সমস্ত কিছু জানিয়েছেন তিনি। বার বার বলা সত্ত্বেও কেউ বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। অবশেষে সুমিত্রা রায় দ্বারস্থ হলেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়কের। সূত্রের খবর, বিধায়ক বিষয়টি শুনেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এ বিষয়ে লিখিত আকারে জানাবেন।

কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওঁরাও বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকেও এ বিষয়ে জানাবেন। আর তাতে যদি কাজ না হয় তা হলে সরাসরি বিধানসভায় এই বিষয়টি উত্থাপিত করবেন। কামাখ্যাগুড়ির পঞ্চায়েত সদস্য সুমিত্রা রায়ের অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ করাতে না পারার বিষয়টি বহুবার অঞ্চল প্রধানকে তিনি জানিয়েছেন।

সুমিত্রা রায় জানান, কাজের যে দাবি রয়েছে সবটাই জানানো হয়েছে প্রধানকে। কিন্তু প্রায় এক বছরে তাঁর বুথে মাত্র ছ’দিন কাজ হয়েছে। এদিকে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর না পেয়ে কুমারগ্রামের বিডিওর কাছেও তিনি এ বিষয়ে জানান বলে দাবি করেন।

সোমবার কুমারগ্রামের বিধায়ক কে ওই কাজের ‘ডিমান্ড রিসিভ কপি’ জমা দেন। যদিও এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান অলেন ঠাকুর পাল্টা বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, বিধানসভা ভোটের পর থেকে ওই পঞ্চায়েত সদস্য অফিসে আসেন না। তাঁর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগও নেই। এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন পঞ্চায়েত সদস্য।

সুমিত্রা রায় বলেন, “১০.৭.২০২১ তারিখে আমরা লিখিতভাবে বিডিওকে জানাই। তার কপি রয়েছে আমাদের কাছে। আমাদের বুথে আমরা কাজ করাতে পারছি না। ডিমান্ড জমা দেওয়ার পরও কাজ আসেনি। অন্যান্য বুথে যেখানে গত এক বছরে যেখানে ৭০ শতাংশ কাজ হয়েছে। সেখানে আমার বুথে ৬ দিনের মতো কাজ হয়েছে। বিডিওকে জানিয়েও সুরাহা পাইনি। কাজ হয়নি আমার বুথে। প্রধানকে জানিয়েও লাভ হয়নি। অঞ্চলে গেলে কেউ কথা বলতে চান না। কোনও সুরাহা পাওয়া যায় না। ১ নম্বর বুথে এই সমস্যাগুলো চলছেই।” তিনি বিজেপি সদস্য বলেই এই পক্ষপাত বলে দাবি সুমিত্রার।

অন্যদিকে প্রধানের বক্তব্য, “উনি যে অভিযোগ করছেন একেবারেই ভিত্তিহীন। কারণ, বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই উনি আমার অফিসে আসেন না। বিধানসভা ভোট মিটলেও দেখা যায়নি। কোনও যোগাযোগও ওনার সঙ্গে হয়নি। উনি যে বলছেন ১০০ দিনের কাজ দাবি করেছিলেন। কোনও রিসিভ কপি থাকলে তা দেখান।”

বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বলেন, “রাজ্য সরকার দাবি করে ১০০ দিনের কাজে তারা নাকি এক নম্বরে। অথচ আমাদের বিধানসভার কামাখ্যাগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতে এক সদস্য এক বছর ধরে ঘুরছেন। অথচ মাত্র ছ’দিন কাজ পেয়েছেন। প্রধান, বিডিওর কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাননি। আড়াইশোর মতো কাজের দাবি রয়েছে। আমি এ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানাব। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকেও জানাব।”

আরও পড়ুন: দিঘা যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী বাস! গুরুতর জখম একাধিক