Alipurduar: পেশা বদলাচ্ছেন চা শ্রমিকরা, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শাসক-বিরোধী

Alipurduar: বাম সংগঠনের এক নেতা এক ধাপ এগিয়ে শাসক দল ও বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, এই দুই সরকারকে উৎখাত না করলে চা বাগানের সমস্যা মিটবে না । সামনে লোকসভা ভোট। রাজনীতির কারবারিরাই বলছেন, শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে গেলে রাজনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দলগুলিই। 

Alipurduar: পেশা বদলাচ্ছেন চা শ্রমিকরা, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শাসক-বিরোধী
চা বাগান বন্ধ হচ্ছে ডুয়ার্সেImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2023 | 2:38 PM

আলিপুরদুয়ার: লোকসভা ভোটের মুখে কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন  চা শ্রমিকরা। সিঁদুরে মেঘ দেখছে উত্তরের চা শিল্প। আলিপুরদুয়ার জেলায় ৫ টি চাবাগান বন্ধ। ধুঁকছে আরও কয়েকটি চা বাগান। চা বাগান বন্ধ হওয়ায় প্রফিডেন্ট ফান্ড, গ্র‍্যাচুয়িটি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন হাজার অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক। বাগান বন্ধ হওয়ায় কাজ হারাচ্ছেন শয়ে শয়ে শ্রমিক। এই পরিস্থিতিতে দলে দলে শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে পাড়ি দিচ্ছেন ভিন রাজ্যে। তামিলনাড়ু, কেরল,রাজস্থান, কাশ্মীর-সহ ভিন রাজ্যে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। পরিসংখ্যান বলছে, কেবল আলিপুরদুয়ারেই ৫ টি চা বাগান বন্ধ। কর্মহীন সাড়ে সাত হাজার শ্রমিক। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে,আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ও রায়মাটাং চাবাগান থেকে কম করে ৬০০ শ্রমিক ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন। শ্রমিকরা সাফ জানিয়েছেন, “এখানে থেকে কী করব, কাজ নেই। কিছুতো কর‍তে হবে বাঁচার জন্য।”

এ ব্যাপারে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানান, মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিকদের চাল-সহ কিছু প্রকল্প তুলে দিচ্ছেন। কিন্তু তা দিয়ে তো শ্রমিকদের সমস্যা মেটে না। অসুখ , চিকিৎসার খরচ, ছেলে মেয়ের লেখাপড়া-সহ আরও অনেক খরচ রয়েছে।

বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের নেতা রাজেশ বার্লা অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার চা শ্রমিক দের সমস্যা মেটাচ্ছে না। তাই ওঁরা কাজের সন্ধানে বাইরে যাচ্ছেন।অন্যদিকে বাম সংগঠনের এক নেতা এক ধাপ এগিয়ে শাসক দল ও বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, এই দুই সরকারকে উৎখাত না করলে চা বাগানের সমস্যা মিটবে না । সামনে লোকসভা ভোট। রাজনীতির কারবারিরাই বলছেন, শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে গেলে রাজনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দলগুলিই।

একের পর এক চা বাগান বন্ধ হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ,  এখনও পর্যন্ত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সুনিশ্চিত হয়নি। শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিকপক্ষ তাঁদের কাজের সময় বাড়াতে বলে। ছ’ঘণ্টার বদলে আট-ন’ঘণ্টা কাজ করতে বলা হয়। কিন্তু তার জন্য অতিরিক্ত মজুরিও দেওয়া হয় না। একই সঙ্গে বকেয়া বেতন, পিএফ-গ্রাচুয়িটি নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন শ্রমিকরা। অথচ দাবি না মিটিয়ে রাতারাতি চা বাগানে নোটিস ঝুলিয়ে দিচ্ছে মালিক পক্ষ।