Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Alipurduar Torsa River: অতি বৃষ্টিতে তোর্সায় এবার ভাঙন, নদীগর্ভে চারটি বাড়ি, বিপজ্জনক অবস্থায় আরও ১১টি

Alipurduar Torsa River: শনিবার ছোট মেচিয়াবস্তি এলাকায় তোর্সা নদীর গর্ভে চলে যায় চারটি ঘর । রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল আরও এগারোটা ঘর বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।

Alipurduar Torsa River: অতি বৃষ্টিতে তোর্সায় এবার ভাঙন, নদীগর্ভে চারটি বাড়ি, বিপজ্জনক অবস্থায় আরও ১১টি
তোর্সায় ভাঙন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2022 | 4:47 PM

আলিপুরদুয়ার: তোর্সার ব্যাপক ভাঙনে বিপন্ন ১৫ টি পরিবার। ইতিমধ্যে ওই পরিবার ছোট মেচিয়াবস্তী এসএসকে সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। তোর্সা নদীর ব্যাপক ভাঙনে ভুটান সীমান্ত লাগোয়া কালচিনি ব্লকের ছোটো মেচিয়াবস্তি এলাকায় নদী গর্ভে চলে গিয়েছে চারটি ঘর। বিপজ্জনক অবস্থায় আছে আরও ১১ টি ঘর। ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ভুটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টি ও এলাকায় বৃষ্টির ফলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে তোর্সা।

শনিবার ছোট মেচিয়াবস্তি এলাকায় তোর্সা নদীর গর্ভে চলে যায় চারটি ঘর । রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল আরও এগারোটা ঘর বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এক পরিবারের সদস্য শ‍্যামল দে সরকার বলেন, “আমরা কিছু বাঁচাতে পারিনি । পরিহিত এক জামাকাপড়ে পরিবার নিয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়েছি । আমাদের চোখের সামনে ঘর তোর্সা নদীর গর্ভে তলিয়ে গেল।”

তোর্সা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রীনা রাই, রত্না মায়ারা কাঁদছেন। কেননা তাঁদের সামনে অর্ধেক ঘর নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জানান এই এলাকায় তোর্সা নদীতে বাঁধ নেই। যদি শীঘ্র প্রশাসন পদক্ষেপ না করে তাহলে পুরো গ্ৰাম নদী গর্ভে চলে যাবে।

এই বিষয়ে স্থানীয় গ্ৰাম পঞ্চায়েত সদস্য হড়কা বাহাদুর সোনারের কথায়, “বাঁধ নির্মাণের জন‍্য বহু আবেদন করেছি। ক্রমাগত ভাঙন চলছে।” তবে কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন জানান, ওই এলাকায় ওঁদের বাড়ি বানানোর কথা নয়। বেআইনিভাবে বাড়ি বানিয়েছিলেন। ওঁরা স্কুল ঘরে আশ্রয় নিয়ে আছেন এখন। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ৪৮ ঘন্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আগামী ২১ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গে খানিকটা কমবে। ফরে পরের পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা নিয়ে আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দারা।