Buxa Tiger Sumari: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বাঘ গণনা শুরু
Alipurduar Tiger Sumari: সেইসঙ্গে বনের কোন কোন অঞ্চলে বাঘ, হাতি, গাউর,চিতাবাঘ,হাতি,বার্কিং ডিয়ার ইত্যাদি বন্যপ্রাণীর প্রজাতি রয়েছে, তা খুঁজে বের করা।
আলিপুরদুয়ার: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শনিবার থেকে প্রথম দফায় বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়েছে।বনদফতরের ৮১ টি দল এই বাঘ গণনায় অংশ নিয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা বুদ্ধরাজ সেওয়া জানান, এই সমীক্ষার উদ্দেশ্য হল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর ঘনত্ব চিহ্নিত করা। সেইসঙ্গে বনের কোন কোন অঞ্চলে বাঘ, হাতি, গাউর,চিতাবাঘ,হাতি,বার্কিং ডিয়ার ইত্যাদি বন্যপ্রাণীর প্রজাতি রয়েছে, তা খুঁজে বের করা।
লাইন ট্রানসেক্ট এবং সাইন সার্ভে একই সঙ্গে সমস্ত রেঞ্জ এবং বিটে ছয় দিন ধরে চলবে। প্রায় ৮১ টি দল এই সমীক্ষা উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছে। এই সমীক্ষাটি সম্পূর্ণ মোবাইল আ্যপ্লিকেশনে করা হবে, যা বিশেষভাবে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এবার বাঘ সুমারির সঙ্গে হাতি সুমারিও হবে। বিষ্ঠা সংগ্ৰহ করে ডিএনএ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হাতি সুমারিও করা হবে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ৭৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকাতে এই গণনার কাজ চলবে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা বুদ্ধরাজ সেওয়া আরও বলেন, ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্লক ওয়ানে ২০০ ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগানো আছে। সেটা পরে ব্লক টুতে লাগানো হবে। মাস খানেক আগে যে বাঘের ছবি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল, তা এই গণনার সময় সাইটিং হবে বলে আশা করা যাচ্ছে । তিনি আশাবাদী, এবার গননায় বাঘের দেখা পাওয়া যাবে। বাঘ গণনার পাশাপাশি হাতি-সহ অন্য বন্যপ্রাণীর গণনাও হচ্ছে। যা মার্কিং পাওয়া যাচ্ছে, তা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য দেরাদুনে পাঠানো হচ্ছে।
মাসখানেক আগে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঘের ছবি পাওয়া গিয়েছিল। বনকর্তারা আশাবাদী, এবার গণনায় বাঘের অস্তিত্ব মিলবে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে ক্ষেত্র অধিকর্তা বুদ্ধরাজ সেওয়া বলেন, “বক্সাতে আমরা ইতিমধ্যেই ফেজ ওয়ান চালু করেছি। শেষ ১৫ তারিখ শুরু হয়েছে। সেটা ৬ দিন থাকবে। আমরা ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্লক ওয়ানে ক্যামেরা লাগানোর কাজ করছি। পরে ব্লক ২-এ লাগানো হবে। প্রত্যেক ব্লকে ৩০ দিন ধরে থাকবে। প্রত্যেক চার বছর অন্তরই আমরা বাঘ গণনার কাজ করি।” প্রসঙ্গত, ১১ ডিসেম্বরেই বক্সাতে একটি বাঘের খোঁজ মেলে। সেই বাঘটিকেও এই ক্যামেরায় চিহ্নিত করা যাবে বলে মনে করছেন আধিকারিক।
তিনি আরও জানান, কোভিড প্রোটোকল মেনে স্টাফ এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। ৮১ টি গ্রুপ রয়েছে। প্রত্যেক গ্রুপে ৪-৫ জন করে কর্মী রয়েছেন। এবার কোনও এনজিও-র কর্মীদের নিয়োগ করা হয়নি। কোভিডের কারণেই কেবল বনকর্মীদেরই বিধি মেনে এই অপারেশনে লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রেড রোডে কুচকাওয়াজে ‘বাতিল’ ট্যাবলো, প্রজাতন্ত্র দিবসে অনুষ্ঠানেও কাটছাঁট, ঘোষণা নবান্নের