Alipurduar: গোটা এলাকায় দারিদ্রের ছায়া, তাঁর হাত ধরেই বদলাচ্ছে গ্রামের শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষারত্ন পাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের প্রাণতোষ পাল
Alipurduar: শিক্ষারত্ন পেয়ে খুশি প্রাণতোষভাবেও। তিনি বলেন, “আমার খুবই ভাল লাগছে। আমার কাজের জন্য সরকার আমাকে এই সম্মান দেওয়ার জন্য যোগ্য মনে করছেন।”
আলিপুরদুয়ার : খুশির হাওয়া আলিপুরদুয়ারে। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য শিক্ষারত্ন পেলেন জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে লাগোয়া শালকুমারের লাল্টুরাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রাণতোষ পাল। আলিপুরদুয়ারে এই প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও যেমন খুব একটা উন্নত নয় যোগাযোগ ব্যবস্থা, তেমনই আবার পরিবারে আর্থিক সঙ্কটের জন্য অনেক পড়ুয়া কিছু সময় পড়াশোনা করার পর স্কুল ছেড়ে দেন। দারিদ্রের ছাপ এলাকার সর্বত্র। পড়াশোনা সেখানে যেন এক স্বপ্নের মতো। যদিও সেই স্বপ্নকে আধার করেই এলাকার বাসিন্দাদের শিক্ষিত করতে সেই কবে থেকেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাণতোষবাবু। তিনিই এবার শিক্ষারত্ন পাওয়ায় খুশির হাওয়া গোটা এলাকায়।
শুভেচ্ছাবার্তা আসছে এলাকার অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকেও। এলাকার এক শিক্ষিকা বলেন, “ওনার এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। তাঁর নাম শিক্ষারত্নে বিবেচিত হয়েছে। আজ আমাদের সকলের কাছে এটা গর্বের দিন। তাই আমরা এদিন আমাদের প্রিয় শিক্ষককে সংবর্ধনা জানালাম। ওনার সাফল্য পড়ুয়ারা খুব খুশি। উনি জীবনে আরও উঁচু জায়গায় যান। এটা আমরা চাই।”
শিক্ষারত্ন পেয়ে খুশি প্রাণতোষবাবুও। তিনি বলেন, “আমার খুবই ভাল লাগছে। আমার কাজের জন্য সরকার আমাকে এই সম্মান দেওয়ার জন্য যোগ্য মনে করছেন। এটায় আমার খুবই ভাল লাগছে। ২০০৩ সাল থেকে এই স্কুলে কাজ করছি। এর আগে টোটোপাড়াতে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতাম। সেখানেও অনেক লড়াই করেছি। লড়াই আমার অনুপ্রেরনা। এলাকার অবস্থা খুব ভাল নয়। দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে সবসময় মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়। গ্রামকে ভালবেসেই আমি এই গ্রামে এসেছি। আগামীতেও গ্রামীণ এলাকাতেই কাজ করব। গ্রাম শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও ভাল করতে চাই। এই সম্মান পাওয়ায় আরও ভাল কাজ করতে উৎসাহ পাব।”