Tea Garden: অপুষ্টিতে চা শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ, মানতে নারাজ জেলাপ্রশাসন
Alipurduar: আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের মধু চাবাগানের ধানি ওঁরাওয়ের মৃত্যুর কারণ হিসাবে অপুষ্টিকে তুলে ধরা হয়। ধানির স্ত্রী আশারানি লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। তিনিও অপুষ্টির শিকার বলে অভিযোগ ওঠে। পশ্চিমবঙ্গ চা মজদুর সমিতিও অভিযোগ তোলে, অনাহারে চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে মধু চা বাগানে এক শ্রমিকের অনাহারে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল সারা বাংলা ক্ষেতমজুর সমিতি। শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে তারা দাবি করে, গত ২ তারিখ এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এরপরই তাদের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি সেখানে যায়। তাতে বাগানটির শ্রমিকদের যে দুরাবস্থা তারা দেখেছেন এবং মৃত শ্রমিকের স্ত্রীর যা পরিস্থিতি তাতে অনাহারে মৃত্যুই কারণ বলে তাদের মনে হচ্ছে। বিস্তারিত ভিডিয়ো ও রিপোর্ট রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে জমা দেবে বলেও জানায়। তবে জেলা প্রশাসন এই অনাহার তত্ত্ব মানতে নারাজ।
আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের মধু চাবাগানের ধানি ওঁরাওয়ের মৃত্যুর কারণ হিসাবে অপুষ্টিকে তুলে ধরা হয়। ধানির স্ত্রী আশারানি লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। তিনিও অপুষ্টির শিকার বলে অভিযোগ ওঠে। পশ্চিমবঙ্গ চা মজদুর সমিতিও অভিযোগ তোলে, অনাহারে চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা একটি বাড়ির ছবি দেখিয়ে বলেন, এটি নিহত ধানি ওরাওঁয়ের ভাই চৈতু ওরাওঁয়ের পাকা বাড়ি। দু’জনই এই পাকা বাড়িতে একসঙ্গে থাকতেন। ধানি ও তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে তাঁদের ভাইয়ের অস্থায়ী শেডে স্থানান্তরিত হয়। তাই অভিযোগ, ভিত্তিহীন।
এই ঘটনায় রাজনীতির তরজাও শুরু। জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, ওই শ্রমিক না খেতে পেয়ে মারা গিয়েছেন। এর দায় রাজ্য সরকারের। অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, চা শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে গুজব রটানো হচ্ছে। অনাহারে মৃত্যু হয়েছে এটা ভিত্তিহীন খবর। তিনি বলেন যে কোন মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে অসুস্থতার জন্য।