Coal Smuggling: এবার অভিনব উপায়ে ‘কালো হিরে’ পাচার, চালের বস্তা সরাতেই চক্ষু ছানাবড়া পুলিশের
Alipurduar: অসম-বাংলা সীমানাবর্তী পাকড়িগুড়িতে ঢুকতেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সেইসব ট্রাক। সোমবার তেমনই একটি ট্রাক আটক করে পুলিশ।
আলিপুরদুয়ার: কয়লা পাচারের (Coal Smuggling) অভিযোগ ঘিরে হুলস্থূল গোটা রাজ্যে। এরইমধ্যে অভিনব কায়দায় কয়লা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল ট্রাক। চালের বস্তার আড়ালে অসম বাংলা সীমান্তে কয়লা পাচারের চেষ্টা রুখল পুলিশ। অসম সীমানাবর্তী কুমারগ্রাম থানার অন্তর্গত বারবিশা ফাঁড়ির পুলিশ সোমবার কয়লাবোঝাই ট্রাক ধরে ফেলে। এই ঘটনায় এক ট্রাক চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে আদালতে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অসম থেকে প্রতিনিয়ত নয়া কৌশলে কয়লা পাচার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা। কখনও পাটের নীচে লুকিয়ে, কখনও ধানের তুষের নীচে লুকিয়ে চলে পাচারের চেষ্টা।
কিন্তু অসম-বাংলা সীমানাবর্তী পাকড়িগুড়িতে ঢুকতেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সেইসব ট্রাক। সোমবার তেমনই একটি ট্রাক আটক করে পুলিশ। চালবোঝাই ট্রাকটি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। সন্দেহ নিরসনে গাড়ির চালক তড়িঘড়ি একটি চালের রসিদ বের করে দেখান। চালকের এই অতি তৎপরতায় সন্দেহ দ্বিগুণ হয় পুলিশের। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় ট্রাকটি আটক করে ট্রাক চালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পরে পুলিশের জেরায় ট্রাক চালক কয়লা পাচারের কথা স্বীকারও করেন। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ধৃত ট্রাক চালকের নাম নীতেশ রায়। পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা তিনি।
আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিশসুপার ওয়াই রঘুবংশী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছি। অবৈধ কয়লা পাচার বন্ধ আছে। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে চালের কাগজপত্র করেও নিস্তার পাচ্ছে না কয়লা পাচারকারীরা। পুলিশ ওই সীমান্তে সচেষ্ট রয়েছে।” দক্ষিণবঙ্গের একাধিক খনি এলাকা থেকে কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়। তবে দক্ষিণবঙ্গ থেকে কয়লা তোলা হলেও তা পাচারের করিডর হিসাবে উত্তরবঙ্গের সীমান্ত কিংবা সীমানাবর্তী এলাকাকে বেছে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন সময়। পুলিশও সবসময় জাগরূক। দিনেরাতে চলে তল্লাশি। সেই তল্লাশি অভিযানেই সোমবার ধরা পড়ল চালবোঝাই ট্রাক। যার আড়ালে দেদার চলছিল কয়লা পাচার।