River Erosion: নদী ভাঙন রোধে বিরোধীদের ভূমিকা চোখে পড়ছে না মন্ত্রীর, পদ্ম বিধায়ক বলছেন ‘মিটিংয়েই ডাকে না’

TMC vs BJP: আলিপুরদুয়ারে এক সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী অভিযোগ তোলেন, উত্তরবঙ্গের নদী ভাঙ্গন রোধে উত্তরের সাংসদ এবং বিধায়কদের তেমন কোনও ভূমিকা চোখে পড়ছে না।

River Erosion: নদী ভাঙন রোধে বিরোধীদের ভূমিকা চোখে পড়ছে না মন্ত্রীর, পদ্ম বিধায়ক বলছেন 'মিটিংয়েই ডাকে না'
আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল বনাম বিজেপি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2022 | 5:03 PM

আলিপুরদুয়ার: রবিবার আলিপুরদুয়ারে এসে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের একহাত নিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick)। বলেছেন, “বিজেপির বিধায়ক এবং সাংসদেরা মানুষের কথা ভাবছেন না, তাঁরা মানুষকে মেরে মানুষের সমর্থন আদায় করতে চাইছেন। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত করছেন।” আলিপুরদুয়ারে এক সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী অভিযোগ তোলেন, উত্তরবঙ্গের নদী ভাঙ্গন রোধে উত্তরের সাংসদ এবং বিধায়কদের তেমন কোনও ভূমিকা চোখে পড়ছে না।

এই নিয়েই এবার সেচমন্ত্রীকে পাল্টা দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। প্রতি আক্রমণের সুরে তিনি বলেন, “সেচ মন্ত্রী নতুন মন্ত্রী। আমি এর আগে বিধানসভায় আলিপুরদুয়ার ও ডুয়ার্সের নদী ভাঙন নিয়ে বলেছি। প্রতিটি নদী ভুটান পাহাড় থেকে এসেছে। ভারত- ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠনে উদ্যেগী নয় রাজ্য সরকার।” তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “রাজ্য সরকারের একটি প্রতিনিধি দল কেন দিল্লি যাচ্ছে না? ভারত- ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠনে রাজ্য সরকার ও সেচমন্ত্রীকেই উদ্যেগী হতে হবে।”

বিরোধী দলের বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পার্থ ভৌমিক তুলেছেন সেই বিষয়ে পাল্টা দিয়ে সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “ওরাই তো আমাদের কোনও মিটিং-এ ডাকেন না। আর সাংসদ ও বিধায়কদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিয়ে উনি পার পাবেন না। নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন।”

প্রসঙ্গত, এদিন আলিপুরদুয়ারে সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ ভৌমিক দাবি করেছেন, “এলাকার সাংসদ এবং বিধায়ক কেউই কেন্দ্রকে কিংবা জাতীয় নদী কমিশনে একটিও চিঠি লেখেননি। নদী ভাঙ্গন রোধের কেন্দ্রীয় বরাদ্দের জন্য কোনওদিন আবেদন করেননি। তাঁরা কেবল মানুষের ভোটে জয়লাভ করে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বাংলা ভাগের চিন্তা করছেন। নদী ভাঙ্গন রোধের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বরাদ্দুটুকু যদি পাওয়া যেত, তাহলে বাংলার বহু মানুষকে বাঁচানো যেত।”