Wood Trafficking: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই গ্রেফতার, চার মাস বাদে জামিন পেয়ে নিজেকে দলেরই সৈনিক বললেন পাসাং লামা

Alipurduar: ২০১৯ সালে কালচিনি ব্লক সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হন পাসাং লামা।

Wood Trafficking: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই গ্রেফতার, চার মাস বাদে জামিন পেয়ে নিজেকে দলেরই সৈনিক বললেন পাসাং লামা
জামিনে মুক্ত পাসাং লামা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 9:01 PM

আলিপুরদুয়ার: চার মাস পর জামিন পেলেন কালচিনির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা পাসাং লামা। গত ফেব্রুয়ারি নাগাদ নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বৈঠক থেকেই তিনি আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপারকে জানান, কেউ জেলার হেরিটেজ বিক্রি করে দিচ্ছে। সে যেই হোক, যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সপ্তাহ ঘোরার আগেই গ্রেফতার করা হয় সেই সময় আলিপুরদুয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের কালচিনি ব্লক সভাপতি পাসাং লামাকে। পাসাংয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলের কাঠ পাচার করার অভিযোগ উঠছিল। সে কারণেই গ্রেফতার হন তিনি। সোমবার জামিনে মুক্ত হওয়ার পর পাসাং অবশ্য দাবি করেন, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বরং তিনি বলেন, প্রয়োজনে সিআইডি এর তদন্ত করুক। পাসাং লামার বিরুদ্ধে মোট ৬টি মামলা ছিল। এরমধ্যে দু’টি বনদফতর দায়ের করে। চারটি পুলিশ।

পাসাং লামার আইনজীবী নিলয় দত্ত বলেন, “চারটে পুলিশ কেসের মধ্যে তিনটেয় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন হয়েছে। বাকি তিনটে সিজেএম কোর্ট থেকে হয়েছে। ধাপে ধাপে সবক’টা জামিন হওয়ার পর আজ বন্ড দিয়ে ওনাকে সংশোধনাগার থেকে বের করা হল। সব মামলাই আলিপুরদুয়ারে ছিল। নিম্ন আদালতে এসিজেএম জামিন খারিজ করার পর হাইকোর্টে যাই। সেখান থেকে জামিন।”

পাসাং লামা বলেন, “আমি সত্যি দিদির সৈনিক ছিলাম। আমি নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম। শুধুমাত্র আমার ছেলের কথায় এখানে দাঁড়িয়ে আছি। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এর সিআইডি তদন্ত হোক। আমার মামলা বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এর বিচার চাই। আমাকে গ্রেফতার করা হয়নি, আমিই আত্মসমর্পণ করেছিলাম। আমি কলকাতা যাচ্ছিলাম, মাঝ পথ থেকে ফিরে এসে আত্মসমর্পণ করি। তবে দেখলাম, বিপদের দিনে বন্ধুও কেমন ভোল বদলে ফেলে।”

২০১৯ সালে কালচিনি ব্লক সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হন পাসাং লামা। যদিও হেরে যান। পাসাং লামার বক্তব্য, “বিধানসভায় হেরে গিয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে আমার কালচিনি থেকে ৫০ হাজারের বেশি ভোট পায় দল।” পাসাংয়ের বক্তব্য, তিনি এখন অপেক্ষা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো ও সেকেন্ড-ইন-কমান্ড কী নির্দেশ দেন। এখনও তিনি নিজেকে তৃণমূলেরই সৈনিক বলে দাবি করেন।