Alipurduar: ‘নির্বাচনের সময় এসে বলেন মনা ভোটটা দিস’, বন্যা পরিস্থিতিতে খাবার-জল না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন জনগণ
Alipurduar: উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। কালজানি, তিস্তা, তোর্সা, রায়ডাক, সংকোস, সহ একাধিক নদীতে জল তুলনামূলক আগের থেকে কমে গেলেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কিন্তু কমেনি।
আলিপুরদুয়ার: কেউ বলছেন, ‘ভোটের সময় আসেন, তারপর আর পাত্তাই পাওয়া যায় না’, কেউ আবার বলছেন, ‘দেখুন কী অবস্থায় আছি আমরা…’, কেউ ব্যঙ্গের সুরে বললেন, ‘ভোটের সময় এসে বলেন ভোটটা দিয়ে দিস মনা। তখন তো মনে থাকে না।’ উত্তরবঙ্গের বন্যায় রীতিমত জেরবার সেখানকার জনগণ। তাঁদের অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা আসলে ঠিক এমন হালই হয়। অথচ নেতাদের নেই কোনও হেলদোল।
উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। কালজানি, তিস্তা, তোর্সা, রায়ডাক, সংকোস, সহ একাধিক নদীতে জল তুলনামূলক আগের থেকে কমে গেলেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কিন্তু কমেনি। আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৮, ৯, ১১, ১৫ ও দ্বীপচর এলাকায় জল এখনও রয়ে গিয়েছে। প্রচুর মানুষ এখনও জলবন্দী হয়ে রয়েছেন। কয়েকজন বাসিন্দা কালজানি বাঁধের উপর এখনও আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন।দী সংলগ্ন কয়েকহাজার মানুষ এখন বিপাকে পড়েছেন।শুরু হয়েছে পানীয় জলের সংকট। সঞ্চিত যা জল তুলে রেখেছিলেন তা শেষ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, জলবন্দী মানুষজনের জন্য পুরসভা থেকে ত্রাণ হিসেবে চিড়ে, গুড় পৌচ্ছছে। ইতিমধ্যে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ২টি নৌকো ও একটি জলের ট্যাঙ্ক দিয়ে গিয়েছে পুরসভা।কিন্তু পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা নেই। তাঁদের সাফ কথা, ‘জল দিয়ে কি পেট ভরবে? কোন খাবার এখনও পাইনি পুরসভার তরফে।’ এক এলাকাবাসী বলেন, ‘ত্রিপল চাইতে গেলে কাউন্সিলর সাফ জানিয়েছেন বাঁধে থাকলে ত্রিপল দেওয়া হবে না।’ ওই ব্যক্তি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘ভোটের সময় এসে বলেন ভোটটা দিস মনা। তখন তো মনে থাকে না বাঁধের পাড়ে আছি।’
বস্তুত, ভুটান পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জল পুরোপুরি নামতে সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।কিছু এলাকায় জল সকালে কমলেও ফের জল বাড়ছে। তাই আতঙ্কে কয়েক হাজার জলবন্দি মানুষজন।এ দিকে, ২৬০০ ফুট উঁচু বক্সা পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে। সান্তো লা বাড়ি থেকে বক্সাফোর্ট পর্যন্ত তিন কিমি রাস্তায় ধসের জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। জয়ন্তী এলাকায় নদীর জল ঢুকে যাওয়ায় বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন।কালচিনি, কুমারগ্রাম সহ বেশ কিছু এলাকায় নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ৫ মিমি। হাঁসিমারিতে বৃষ্টি হয়েছে ২১ দশমিক ৬০ মিমি