Corruption: লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় সরকারি আধিকারিক
Corruption: সরকারি ভর্তুর্কি যুক্ত লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে উপভোক্তাদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে, অভিযোগ পেতে ঘটনার তদন্ত শুরু করল জেলা শাসক।
বালুরঘাট: ২৩ মে: কেন্দ্র সরকারের প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান প্রকল্প ও রাজ্য সরকারের কর্মসাথী প্রকল্পে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে (Balurghat in South Dinajpur district,) জেলা শিল্প কেন্দ্র বিভাগের এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সাবসিটির লোন নিতে গেলে ওই সরকারি আধিকারিককে দিতে হত লোনের টাকা অনুযায়ী ভাগ। এই ঘটনায় জেলা শাসকের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করল প্রতারিত উপভোক্তারা৷ যদিও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিক। এদিকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক আয়েশা রানি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ক্ষুদ্র শিল্প অন্যান্য অনেক জেলাকেই পিছনে ফেলেছে। জেলার বেকার যুবক-যুবতীরা জেলা শিল্প কেন্দ্রের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেন। অভিযোগ, বেকার যুবক যুবতীদের অসহায়তাকে কাজে লাগিয়েই, জেলা শিল্প কেন্দ্র গজিয়ে উঠেছে প্রতারনা চক্র। আর খোদ ম্যানেজারের চেয়ারে বসেই ওই কাটমানির চক্র চালাচ্ছেন খোদ দফতরের কর্তা। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার প্রশাসনিক মহলে।
এরইমধ্যে এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শিল্প দফতরের ম্যানেজার প্রকাশ বাগের বিরুদ্ধে জেলা শাসককে দেওয়া একটি ৪০ জনের গন অভিযোগ সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। প্রতারিত যুবক-যুবতীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান কর্মসূচি ও কর্মসাথী প্রকল্পে লোন করে দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছে থেকে প্রকাশ বাগ লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। লোন না পাওয়ার দীর্ঘদিন পরেও সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় ওই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে গন অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, এই প্রকাশ বাগ জেলা শিল্প কেন্দ্রে ম্যানেজার পদে কর্তরত। অভিযোগ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি সাবসিটের লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ৪০ জনের কাছ থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। যার মধ্যে তিনি ২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন৷ এখনও ৪ লক্ষ টাকা ৪৮ হাজার টাকা ফেরাতে পারেননি বলেই অভিযোগ।
এবিষয়ে মৌমিতা চক্রবর্তী নামে এক প্রতারিত মহিলা জানান, তিনি মশলা তৈরির উদ্যোগ নিয়ে দফতরে এসেছিলেন লোনের আবেদন জানাতে। যে সময় প্রকাশ বাগ নামে ওই আধিকারিক প্রথমে প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান কর্মসূচি ও পরে কর্মসাথীর নাম করে দু’দফায় ৬৫ হাজার টাকা করে নিয়েছে। শুধু তাই নয় আবেদন করার ফর্মের জন্যও আড়াই হাজার টাকা নিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে অপর অভিযোগকারী অপর্ণা সরকার বলেন, তাঁর কাছে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ব্যাঙ্ক লোন করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৩৬ হাজার টাকা নিয়েছেন ওই একই ব্যক্তি। তাঁর কাছে ঘুষের টাকা পৌঁছে দিলেও এখনও পাননি লোন।
এ বিষয়ে জেলা শাসক আয়েশা রানি বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমরা এ ঘটনার তদন্ত শুরু করা করেছি। এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিককে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে সরকারি আধিকারিক প্রকাশ বাগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছেন তারা। কেউ যদি টাকা নেওয়ার বিষয় প্রমাণ করতে পারেন তাহলে তিনি সব শাস্তি মাথা পেতে নেবেন বলেও জানিয়েছেন।