AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

B.ED: বি.এড কলেজ ছাত্র ভর্তির অনুমতি পায়নি, সরব কর্তৃপক্ষ

Balurghat: রাখি বর্মন নামে এক ছাত্রীর কথায়, "সমস্ত নথি, টাকা দিয়ে বালুরঘাটের কলেজে ভর্তি হই। এদিকে এখন আর ওরা কিছু বলছে না। বাকি কলেজগুলিতেও সিট ভর্তি। অন্য কোথাও ভর্তিও হতে পারছি না। একটা বছর কি এবার তাহলে আমার নষ্টই হয়ে যাবে, এটাই ভাবছি এখন।"

B.ED: বি.এড কলেজ ছাত্র ভর্তির অনুমতি পায়নি, সরব কর্তৃপক্ষ
ফাইল ছবিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2023 | 6:55 PM
Share

বালুরঘাট: রাজ্যের ২৫৩টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল হয়েছে ইতিমধ্যেই। এনসিটিই-এর যে নির্দেশিকা, তা মানা হয়নি বলেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬টি বেসরকারি বি.এড কলেজ আছে, যারা পড়ুয়া ভর্তির অনুমোদন পায়নি এবার। এদিকে অনুমোদন না পেলেও বেশির ভাগ কলেজেই ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া শেষের দিকে। ফলে যাঁরা এই ৬টি কলেজকে বেছেছিলেন তাঁরা পড়েছে অথৈ জলে। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে পাল্টা সরব।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট ১৭টি বেসরকারি বিএড কলেজ আছে। সব মিলিয়ে ১২০০টি আসন। কোনওবারই আসন ফাঁকা পড়ে থাকে না। এবারও তেমনই হয়েছে। তবে ভর্তি হওয়ার মাঝেই হঠাৎ সামনে এসেছে অনুমোদন বাতিলের বিষয়টি। বালুরঘাটের ১টি (আসন সংখ্যা ৫০), তপনের ২টি (আসন সংখ্যা ১৫০), গঙ্গারামপুরের ১টি (আসন সংখ্যা ১০০), বুনিয়াদপুর ও কুশমণ্ডির ১টি করে মোট ২টি কলেজ (মোট আসন সংখ্যা ১০০) রয়েছে তালিকায়। এই ৬টি কলেজে ৪০০টি আসন আছে। এবার এই ৪০০ পড়ুয়া কী করবেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী, উঠছে প্রশ্ন।

রাখি বর্মন নামে এক ছাত্রীর কথায়, “সমস্ত নথি, টাকা দিয়ে বালুরঘাটের কলেজে ভর্তি হই। এদিকে এখন আর ওরা কিছু বলছে না। বাকি কলেজগুলিতেও সিট ভর্তি। অন্য কোথাও ভর্তিও হতে পারছি না। একটা বছর কি এবার তাহলে আমার নষ্টই হয়ে যাবে, এটাই ভাবছি এখন।”

ওই কলেজের টিআইসির কথায়, “এই বি.এড কলেজের উপরই আমরা চলি। এখন এই যদি অবস্থা হয়। কর্তৃপক্ষ আমাদের কীভাবে বেতন দেবে সেটাও তো ভাবার। আমরাও দুশ্চিন্তায়। পড়ুয়ারাই কলেজে না এলে আমরা কাদের নিয়ে চলব? আমাদের এভাবে জলে পড়ার দায়িত্ব তো রেজিস্ট্রার কিংবা উপাচার্যকেই নিতে হবে। কলকাতায় গিয়ে এবার আমাদেরও ধরনায় বসতে হবে।”

ওই কলেজের কর্ণধারের বক্তব্য, “গোটা বাংলায় ৬০০টা বেসরকারি বি.এড কলেজ, ২৪টা সরকারি বি.এড কলেজ। আমাদের কলেজের সমস্ত কাগজ ঠিক থাকার পরও ভর্তির অনুমোদন পেল না। ব্যাঙ্কের কাগজ থেকে ফায়ার সার্টিফিকেট, সব জমা দিয়েছি। পরে ফ্যাকাল্টি মেম্বার দেখবে, জুন মাসের ১২ তারিখ ভেরিফিকেশনও হয়েছে। ৭জন প্রফেসর, ১ প্রিন্সিপাল আছেন। অথচ লিঙ্ক চাওয়ার সময় বলছেন ১ জন প্রফেসর কম।”