Bankura: ভাত খেতে খেতে মা-ছেলের মুখ দিয়ে বেরিয়েছিল একটাই শব্দ! শ্মশান হয়ে গেল বাউড়ি পরিবার
Bankura: সোমবার রাতে বাঁকুড়ার খাতড়া থানার জলডোবরা গ্রামে গোপী বাউড়ির বাড়িতে প্রবল চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পান প্রতিবেশীরা । প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে দেখেন বছর ষাটের লক্ষ্মী বাউড়ি ও তাঁর ছেলে বছর চল্লিশের দেবু বাউড়ি মেঝেতে রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।
বাঁকুড়া: বাড়ি থেকে প্রবল চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। যে বাড়িতে নিত্য অশান্তি লেগে থাকে, সেখানে থেকে চিৎকার শুনতে পাওয়াটা আখছার ঘটনা। তাই প্রথমটায় বিশেষ আমল দিতে চাননি তাঁরা। কিন্তু যখন গোঙানি আর পাশ থেকে বাকিদের বুক ফাটা কান্নার শব্দ শুনতে পান বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন প্রতিবেশীরা। যতক্ষণে তাঁরা পৌঁছন, দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে মাটি। রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে বাড়ির গৃহিনী আর তাঁর বড় ছেলের শরীর। পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন গৃহিনীর ছোট ছেলে। বৃদ্ধা মা ও নিজের দাদাকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে । সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার খাতড়া থানার জলডোবরা গ্রামে। বাধা দিতে গিয়ে শাবলের আঘাতে আহত হন ভাইজি, বৌদি ও দিদি। আহতদের খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বাঁকুড়ার খাতড়া থানার জলডোবরা গ্রামে গোপী বাউড়ির বাড়িতে প্রবল চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পান প্রতিবেশীরা । প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে দেখেন বছর ষাটের লক্ষ্মী বাউড়ি ও তাঁর ছেলে বছর চল্লিশের দেবু বাউড়ি মেঝেতে রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।
অন্যদিকে গুরুতর জখম অবস্থায় বাড়িতে পড়ে রয়েছেন মৃত দেবু বাউড়ির স্ত্রী মঙ্গলা বাউড়ি, তাঁর মেয়ে শিখা বাউড়ি ও দিদি ক্ষেপি বাউড়ি । এরপর প্রতিবেশীরা খাতড়া থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। আহতদের উদ্ধার করেও খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাড়ি থেকেই মৃতা লক্ষ্মী বাউড়ির ছোট ছেলে গোপী বাউড়িকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের ধারণা পারিবারিক বিবাদের জেরেই গোপী বাউড়ি নৃশংসভাবে নিজের মা ও ভাইকে হত্যা করেছেন। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
এক প্রতিবেশী বলছেন, “ছোট ছেলেটা হুমকি দিচ্ছিল শাবল হাতে। মেরে ফেলব কিন্তু। ওরা ওতটাও গুরুত্ব দেয়নি। রাগের মাথায় তখন সবাই। ওরা বলে, মারবি, মেরে ফেল… সত্যিই মেরে দিল”