Sundarban: বলা-কওয়ার ‘সিন’ নেই! সুন্দরবনে দিনের বেলায় চলছে একের পর এক ‘গাছ-খুন’
Sundarban: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের নিকারিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাতলা নদীর চরে ডাবু পর্যটন কেন্দ্র। ১৯৮৬ সালে গড়ে উঠেছিল এই পর্যটন কেন্দ্রটি। বর্তমানে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য থেকেই নির্বিচারে গাছ কেটে পাচার করছে দুষ্কৃতীরা। প্রকাশ্য দিনের আলোতেই এমন ধ্বংসলীলা।
সুন্দরবন: সুন্দরী-গরান, হোগলা, সবে মিলে সুন্দরবন। সেই ম্যানগ্রোভ অরণ্য কার্যত ধ্বংস করছে পাচারকারীরা। লুকিয়ে নয়, দিনের আলোয় অরণ্য থেকে চলছে গাছ কাটা। তারপর নৌকায় তুলে চলছে দেদার পাচার। যার জেরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের নিকারিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাতলা নদীর চরে ডাবু পর্যটন কেন্দ্র। ১৯৮৬ সালে গড়ে উঠেছিল এই পর্যটন কেন্দ্রটি। বর্তমানে এখানকার ম্যানগ্রোভ অরণ্য থেকেই নির্বিচারে গাছ কেটে পাচার করছে দুষ্কৃতীরা। প্রকাশ্য দিনের আলোতেই চলছে এমন ধ্বংসলীলা। গাছগুলিকে কেটে নৌকায় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুধু কী তাই? কেউ কেউ তো আবার মাথায় করেও গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। যদিও এই ম্যানগ্রোভ কাটা নিয়ে তৎপর হয়েছে ক্যানিং থানার পুলিশ। পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাটা ম্যানগ্রোভ উদ্ধার করেছে।
বস্তুত, বিশ্বউষ্ণায়নের ফলে একদিকে যেমন সুন্দরবনের নদীতে জলস্তর বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে লবণের মাত্রা। তার জন্য ফি বছর বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলচ্ছ্বাস তছনছ করে দিচ্ছে সুন্দরবনের একাধিক দ্বীপকে। তারপরও হুঁশ নেই এক শ্রেণির মানুষের। ক্যানিং পশ্চিম তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাস, “এটা বেআইনি কাজ। আমরা যখনই দেখেছি তখনই প্রশাসনকে জানিয়েছি। পদক্ষেপ করেছি। তারপরও বলব এই ঘটনা ঘটে থাকলে ক্যানিং থানার পুলিশ যেন দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেয়।” ফারুক আহমেদ সর্দার নামে এক পরিবেশ কর্মী বলেন, “এই সকল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই পদক্ষেপ করা উচিত। কারণ ম্যানগ্রোভ আমাদের সন্তান। জঙ্গল বাঁচলেই আমরা বাঁচব।”