Bankura: সুভাষ সরকারের ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপি কর্মীরই
Bankura: কৌশিক সিংহ তাঁর অভিযোগপত্রে লেখেন, 'আমরা জানতে পারি কেন্দ্রীয় সরকার অধীনস্থ কল্যাণী এইমস-সহ একাধিক ক্ষেত্রে লোক নিয়োগ হচ্ছে বা নেওয়া হবে। বিজেপির বর্তমান জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের ব্যক্তিগত সহকারী শানু কুণ্ডু এই নিয়োগে যুক্ত আছেন।'
বাঁকুড়া: কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে দলীয় কার্যালয়ে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল কয়েকদিন আগেই। আর সেই ঘটনাকে সামনে রেখে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ গড়াল থানা অবধি। গত মঙ্গলবারের ঘটনা। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। সেই মিটিং চলাকালীন বিজেপিরই কয়েকজন সেখানে চড়াও হন। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। যে ঘরে মন্ত্রী বৈঠক করছিলেন, বাইরে থেকে বিক্ষুব্ধরা দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। এই ঘটনায় বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল দলের ওই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বাঁকুড়া সদর থানায়। সেখানে নাম ছিল বাঁকুড়া বিধানসভার প্রাক্তন আহ্বায়ক কৌশিক সিংহের। সেই কৌশিক এবার পাল্টা সুনীলরুদ্র মণ্ডল ও সুভাষ সরকারের ব্যক্তিগত সহকারী শানু কুণ্ডুর নামে বাঁকুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন।
কৌশিক সিংহ তাঁর অভিযোগপত্রে লেখেন, ‘আমরা জানতে পারি কেন্দ্রীয় সরকার অধীনস্থ কল্যাণী এইমস-সহ একাধিক ক্ষেত্রে লোক নিয়োগ হচ্ছে বা নেওয়া হবে। বিজেপির বর্তমান জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের ব্যক্তিগত সহকারী শানু কুণ্ডু এই নিয়োগে যুক্ত আছেন। এটাও খবর ছিল, এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টিতে সুভাষ সরকারের প্রত্যক্ষ মদত আছে।’ কৌশিকের অভিযোগ, ১২ তারিখ এ নিয়ে তিনি বলতে যাওয়ায় সুনীলরুদ্র মণ্ডল ও শানু কুণ্ডু তাঁদের কুকথা বলেন, শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন। এই বক্তব্যের যথার্থ তদন্তের দাবি করেন কৌশিক সিংহ।
কৌশিক সিংহের কথায়, “সাংসদের পিএ শানু কুণ্ডু ও জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাই। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস দেওয়া হয়েছে। আমরা তাই পুলিশকে জানিয়েছি, কেন আমরা বিক্ষোভ করেছিলাম।” অন্যদিকে সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, “চাকরি নিয়ে সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা, ভিত্তিহীন।” তবে এ নিয়ে বাঁকুড়ায় জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু। তৃণমূলের শ্যামল সাঁতরার কথায়, “২০২৪-এর ভোট যত এগিয়ে আসছে তত বিজেপির অন্দরের দুর্নীতি সামনে আসছে। বিজেপির নেতৃত্ব, কর্মীরা বাঁকুড়া জেলার সাংগঠনিক সভাপতির নামে এফআইআর করেছে। এটা লজ্জার ঘটনা। সাধারণ মানুষও বিভ্রান্ত।”