Bankura Body Recovered: মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ, পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্যে যুগলকে দেখে স্তম্ভিত বাড়ির সদস্যরা
Bankura Body Recovered: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামুখী থানা এলাকার বাসিন্দা মোনালিসা সোরেনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল সিমলাপাল থানা এলাকার বাসিন্দা অনন্ত সোরেনের। গত মঙ্গলবার দু'জনই নিখোঁজ হয়ে যায়।
বাঁকুড়া: পাহাড়ি জঙ্গলে যুগলের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যুগলের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বাঁকুড়ার খাতড়া থানার পাঁপড়ার কাছে মশক পাহাড়ের জঙ্গলে। স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতদেহ দুটি দেখতে পেয়ে খাতড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম অনন্ত সোরেন ও মোনালিসা সোরেন। পুলিশ ওই যুগলের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামুখী থানা এলাকার বাসিন্দা মোনালিসা সোরেনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল সিমলাপাল থানা এলাকার বাসিন্দা অনন্ত সোরেনের। গত মঙ্গলবার দু’জনই নিখোঁজ হয়ে যায়। অনন্ত সোরেনের পরিবার সিমলাপাল থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করে। কিন্তু তার আর কোনও খোঁজ মিলছিল না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সূত্রে খাতড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ওই যুগল বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ জানতে পেরেছে. দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমস্যা ছিল। তা নিয়ে ঝামেলা দীর্ঘদিনের। কিন্তু তাঁরা নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। গত মঙ্গলবার আচমকাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান দু’জনে। তারপর তাঁরা বাড়ি ফিরে আসেননি। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করেন। গ্রামবাসীরাও খোঁজ করেন। তারপর পরিবার সূত্রে থানায় খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, দেহ দুটি পাশাপাশি পড়ে ছিল। মুখ থেকে গ্যাজলা বের হচ্ছিল। দৃশ্যত মনে হচ্ছিল, বিষ খেয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা। তবুও দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।