Bankura Murder: কার্টুনবন্দি দেহ উদ্ধার, আসানসোলে ব্যবসায়ী খুনে ধৃত ২

Bankura Murder: শুক্রবার বিকেলে বাঁকুড়া শালতোড়া থানার ঝগড়াডিহি এলাকায় হাত পা বাঁধা কার্টুন বন্দি এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে শালতোড়া থানার পুলিশ।

Bankura Murder: কার্টুনবন্দি দেহ উদ্ধার, আসানসোলে ব্যবসায়ী খুনে ধৃত ২
বাঁকুড়ায় খুনের অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 1:48 PM

বাঁকুড়া: আসানসোলের ব্যবসায়ীর কার্টুনবন্দি হাত পা বাঁধা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার দুই। টাকার জন্যই খুন ব্যবসায়ী বলে, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আসানসোলের এক ব্যবসায়ীকে খুন করে হাত পা বেঁধে কার্টুনবন্দি করে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করল ঘটনার মূল চক্রী সহ দুই অভিযুক্তকে। টাকা আদায় নিয়ে ব্যবসায়িক ঝামেলার জেরেই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে শালতোড়া থানার পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে বাঁকুড়া শালতোড়া থানার ঝগড়াডিহি এলাকায় হাত পা বাঁধা কার্টুন বন্দি এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে শালতোড়া থানার পুলিশ। মৃতদেহ দেখেই পুলিশের অনুমান হয় খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে এই মৃতদেহ। বাঁকুড়া জেলা পুলিশ বিভিন্ন থানা এলাকায় খোঁজখবর করতে চায়। কোনও থানায় কোনও মিসিং ডায়েরি হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।

পুলিশ জানতে পারে আসানসোলের হীরাপুর থানায় বৃহস্পতিবার এক ব্যবসায়ী নিখোঁজ হওয়ার কথা। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ ওই নিখোঁজ ব্যবসায়ী সইদ মহম্মদ তৌফিক বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। মৃত ব্যাক্তির বাড়ি জামুড়িয়ার নিমডাঙ্গা এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমে বিভিন্ন নথি উদ্ধারের পাশাপাশি ওই কার্টুন থেকেও বিভিন্ন তথ্য উদ্ধার করে শালতোড়া থানার পুলিশ।

মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতেই হীরপুর থানা এলাকা থেকে সন্দেহ জনকভাবে গোলাম জিলামি ওরফে গোল্ডি নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে পুলিশের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করে। আরও তথ্য জানতে শনিবার অভিযুক্ত গোল্ডিকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। হেফাজতে নিয়ে খুনের ঘটনার বিস্তারিত পুলিশের হাতে উঠে আসে।

বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত গোল্ডির সঙ্গে মৃত তৌফিকের। পুলিশি জেরায় গোল্ডি জানিয়েছে, তৌফিকের কাছে ১০ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল তার। কিন্তু টাকা চাইলেও তা ফেরৎ দিচ্ছিল না তৌফিক। তাই তৌফিককে খুন করা পরিকল্পনা করে গোল্ডি।

বৃহস্পতিবার রাতে হীরপুরের একটি আপার্টমেন্টে খাবারে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে প্রথমে তৌফিককে বেহুঁশ করে শ্বাসরোধ করে খুন করে গোল্ডি । এরপরে কাদের খান নামের আর একজনের সহযোগিতায় তৌফিকের মৃতদেহ হাত পা বেঁধে কার্টুনবন্দি করে বাইকে চাপিয়ে গোপন পথ ধরে দামোদর নদ পেরিয়ে শালতোড়া ঝগড়াডিহি এলাকায় রাস্তার ধারে ফেলে চম্পট দেয় গোল্ডি ও কাদের।

পুলিশ ইতিমধ্যেই মূল চক্রী গোল্ডি কে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তার মাধ্যমেই গ্রেফতার করে কাদের খান কে। রবিবার কাদের খানকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ । এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।