Bankura: ছাতিম গাছেই মৃত্যুর হাতছানি! অদ্ভুত শব্দের ডাকে শিহরিত গোটা গ্রাম
Bankura: রাস্তা ধারে থাকা জঙ্গলের ছাতিম গাছ থেকে ময়াল উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার কাঞ্চনপুর বীটের বাগাখোল এলাকায়। সোমবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন জঙ্গলে পাতা কুড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁরাই ফোঁস ফোঁস শব্দটা শুনতে পেয়েছিলেন।
বাঁকুড়া: পাতা কুড়োতে গিয়েছিলেন। জঙ্গলের মধ্যে ছাতিম গাছ। বিশালাকার। তার নীচে যেতেই অদ্ভূত একটা শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন পাতা কুড়োনি। জঙ্গলে তো কত কী নাই শব্দ হয়! তেমনটাই ভেবেছিলেন। তাই প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি। কিন্তু শব্দটা যেন ধীরে ধীরে অনেক বেশি গাঢ় হচ্ছিল। যেন তাঁর কানের আরও কাছে চলে আসছিল। গাছের দিকে তাকাতেই রীতিমতো শরীর দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যায়। গাছের ডালে ঝুলছে বিশালাকার ময়াল। তার ভারে রীতিমতো গাছে নীচের দিকে ঝুলে পড়েছে।
রাস্তা ধারে থাকা জঙ্গলের ছাতিম গাছ থেকে ময়াল উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার কাঞ্চনপুর বীটের বাগাখোল এলাকায়। সোমবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন জঙ্গলে পাতা কুড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁরাই ফোঁস ফোঁস শব্দটা শুনতে পেয়েছিলেন। শব্দের উৎস সন্ধানে খোঁজ করতেই ময়ালটিকে গাছের ডালে ঝুলে থাকতে দেখেন। এরপর গ্রামে গিয়ে বন দফতরে খবর দেন তাঁরা। বন কর্মীরা গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেয়।
বাঁকুড়ার কাঞ্চনপুর বীটের বাগাখোল এলাকায় গ্রামের অদূরেই রয়েছে জঙ্গল। স্থানীয় এক সাপ উদ্ধারকারীর সাহায্য নিয়ে বনকর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেয়। কিন্তু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। জঙ্গলের অদূরেই গ্রাম। পাশে রাস্তা। ওই রাস্তা দিয়ে নিত্য মানুষের যাতায়াত। ময়াল জঙ্গল উজিয়ে যে কোনও সময়েই লোকালয়ে চলে আসতে পারে! এত বিশালাকার সাপ দেখে গায়ে কাঁটা গ্রামবাসীদের।